Cvoice24.com

মিতু হত্যা মামলার নতুন তদন্ত কর্মকর্তা ওমর ফারুক

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯:৫৮, ১৪ ডিসেম্বর ২০২১
মিতু হত্যা মামলার নতুন তদন্ত কর্মকর্তা ওমর ফারুক

পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক আবু জাফর মো. ওমর ফারুক।

দেশজুড়ে আলোচিত সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফের পরিবর্তন হয়েছে। নতুন করে আলোচিত এ মামলা তদন্তের দায়িত্ব পড়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক আবু জাফর মো. ওমর ফারুক। 

এরআগে পিবিআইয়ের পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমার পর কিছু দিনের জন্য অপর পরিদর্শক মহিউদ্দীন মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রোর পুলিশ সুপার নাঈমা সুলতানা সিভয়েসকে বলেন, ‘আগের মামলার তদন্ত কর্মকর্তার পদোন্নতিজনিত কারণে ওমর ফারুককে মিতু হত্যায় দায়ের হওয়া দুটি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’ 

এদিকে পিবিআই পরিদর্শক আবু জাফর মো. ওমর ফারুক আদালত থেকে কেইস ডকেট বুঝে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছেন বলে জানিয়েছেন। 

এরআগে পিবিআই থেকে সিএমপিতে আগের তদন্ত কর্মকর্তা সন্তোষ চাকমা বদলি হলে ২২ নভেম্বর মিতু হত্যা মামলার তদন্তের দায়িত্ব পান একেএম মহিউদ্দিন সেলিম। এর কদিনের মধ্যেই তিনি পদোন্নতি পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার হন। এরপরই পরিদর্শক আবু জাফর মোহাম্মদ ওমর ফারুককে দায়িত্ব দেওয়া হয়। 

২০১৬ সালের ৫ জুন চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় মিতুকে প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার তখন চট্টগ্রাম থেকে বদলি হয়ে ঢাকা সদরদপ্তরে কর্মরত ছিলেন। স্ত্রী হত্যাকাণ্ডের পর চট্টগ্রাম ফিরে তিনি পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

এরপর নানা নাটকীয় ঘটনায় এক পর্যায়ে পুলিশের চাকরি ছাড়েন বাবুল। তার পাঁচ বছর পর তদন্ত করে বাবুলকেই স্ত্রী হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারী হিসেবে চিহ্নিত করে নিজেদের হেফাজতে নেয় পিবিআই। গত ১২ মে মিতুর বাবা মোশারফ হোসেন মেয়েজামাইকে আসামি করে মামলা করেন। একই দিন সেই মামলায় বাদি থেকে আসামি বনে যান বাবুল আক্তার; তাকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেয় পিবিআই। তারপর বাবুলের দায়ের করা মামলার ফাইনাল রির্পোট আদালতে জমা দেয় পিবিআই। 

যদিও মিতু হত্যার ঘটনায় বাবুল আক্তার যে মামলাটি দায়ের করেছিলেন, সেটির তদন্ত শেষ করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছিল পিবিআই। কিন্তু আদালত চূড়ান্ত প্রতিবেদন না নিয়ে মামলাটি অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন। মিতুর বাবার করা মামলাটিও তদন্ত করছে পিবিআই। বাবুলের ও মিতুর বাবার দুই মামলা এক সাথে তদন্ত করছে পিবিআই। অন্যদিকে মামলার তদন্ত সংস্থা পরিবর্তনের যে আবেদন কারাবন্দী বাবুল আক্তার করেছেন তার শুনানি এখনো হয়নি।

স্ত্রী হত্যার আসামি হয়ে বাবুল আক্তার ১৩ মে থেকে কারাগারে রয়েছেন। গত ২৯ মে থেকে বাবুল আক্তার ফেনী কারাগারে রয়েছেন।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়