Cvoice24.com

মিত্যু হত্যায় পিতার মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিল পিবিআই

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭:৩৪, ২৫ জানুয়ারি ২০২২
মিত্যু হত্যায় পিতার মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিল পিবিআই

মাহমুদা খানম মিত্যু হত্যা মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে করা মিতুর বাবার মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দিয়েছে তদন্ত সংস্থা পিবিআই। তবে ২০১৬ সালের ৬ জুন পাঁচলাইশ থানায় বাবুল আক্তারের করা মামলাটির তদন্ত চলবে। বর্তমানে বাবুলের করা সেই মামলাতে গ্রেপ্তার রয়েছেন তিনি। 

মঙ্গলবার (২৫  জানুয়ারি) বিকেলে আদালতের প্রসিকিউশন শাখায় এ প্রতিবেদন জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক আবু জাফর মোহাম্মদ ওমর ফারুক।

বিষয়টি সিভয়েসকে নিশ্চিত করেছেন পাঁচলাইশ থানার (জিআরও) এস আই শাহীন ভুঁইয়া। তিনি বলেন, ‘পিবিআইয়ের তদন্ত কর্মকর্তা মিতুর বাবার করা মামলাটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রসিকিউশন শাখায় জমা দিয়েছেন। আমরা সেটি কাল আদালতে জমা দেব। পরে আদালত সেটির ওপর শুনানি শেষে আদেশ দিবেন।’

গত বছরের ১২মে পাঁচলাইশ থানায় মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন মেয়ে হত্যায় জামাতা বাবুল আক্তারসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। সেই মামলায় বাবুলকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছিল পিবিআই। 

এদিকে গত ৯ জানুয়ারি চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল হালিম মাহমুদা খানম মিতু হত্যার ঘটনায় পাঁচলাইশ থানায় বাবুল আক্তারের দায়ের করা মামলায় তাকেই গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দিয়েছিলেন। গত ৩০ ডিসেম্বর বাবুলকে তার করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদনটি করেছিলেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক আবু জাফর মোহাম্মদ ওমর ফারুক। 

মামলার তদন্ত সংস্থা বলছে— একই ঘটনায় দুটি মামলা চলার দরকার নেই। ইতিমধ্যে বাবুল আক্তারের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। সেকারণে মিতুর বাবার মামলাটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়ে আদালতের আদেশে প্রথম মামলাটির অধিকতর তদন্ত করা হবে। 

২০১৬ সালের ৫ জুন চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় মিতুকে প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার তখন চট্টগ্রাম থেকে বদলি হয়ে ঢাকা সদর দপ্তরে কর্মরত ছিলেন। স্ত্রী হত্যাকাণ্ডের পর চট্টগ্রাম ফিরে তিনি পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা করেছিলেন। এরপর নানা নাটকীয় ঘটনায় এক পর্যায়ে পুলিশের চাকরি ছাড়েন বাবুল। 

ঘটনার প্রায় পাঁচ বছর পর তদন্ত করে বাবুলকেই স্ত্রী হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারী হিসেবে চিহ্নিত করে নিজেদের হেফাজতে নেয় পিবিআই। গত বছরের ১২ মে মিতুর বাবা মোশারফ হোসেন মেয়ে জামাইকে আসামি করে মামলা করেন। একই দিন সেই মামলায় আসামি বনে যান বাবুল আক্তার; তাকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেয় পিবিআই। তারপর বাবুলের দায়ের করা মামলার ফাইনাল রির্পোট আদালতে জমা দেয় পিবিআই। 

যদিও মিতু হত্যার ঘটনায় বাবুল আক্তার যে মামলাটি দায়ের করেছিলেন, সেটির তদন্ত শেষ করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছিল পিবিআই। কিন্তু আদালত চূড়ান্ত প্রতিবেদন না নিয়ে মামলাটি অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন। মিতুর বাবার করা মামলাটিও তদন্ত করছিল পিবিআই। বাবুলের ও মিতুর বাবার দুই মামলা এক সাথে তদন্ত করছেন পিবিআই’র পরিদর্শক আবু জাফর মোহাম্মদ ওমর ফারুক। 

স্ত্রী হত্যার আসামি হয়ে ২০২১ সালের ১৩ মে থেকে মিতুর বাবার করা মামলায় স্ত্রী হত্যার আসামি হয়ে আগে থেকে কারাগারে রয়েছেন বাবুল আক্তার৷ গত ২৯ মে থেকে বাবুল আক্তার ফেনী কারাগারে রয়েছেন।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়