Cvoice24.com

ওয়াসার সার্ভারে ‘কচ্ছপগতি’, বিল জমা দিতে ভোগান্তি

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৮:৩৫, ১৭ মে ২০২২
ওয়াসার সার্ভারে ‘কচ্ছপগতি’, বিল জমা দিতে ভোগান্তি

সার্ভারের কচ্ছপগতির কারণেই চট্টগ্রাম ওয়াসার বিল দিতে গ্রাহকদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে

‘এই গরমের মধ্যে সেই সকাল ১০টা থেকেই লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। তিন ঘণ্টা দাঁড়িয়ে যখন জানালার কাছে পৌঁছলাম, ভেতর থেকে তখন কিনা বলা হলো এখন আর বিল নেওয়া হবে না। আমরা তো পানির বিল দিতে এসেছি। কিছু নিতে আসিনি।’

চট্টগ্রাম ওয়াসা ভবনের নিচ তলায় অবস্থিত জনতা ব্যাংকের শাখার সামনে জ্যৈষ্ঠর খাঁ খাঁ রোদ্দুরে দাঁড়িয়ে আবুল কাশেম যখন এ কথাগুলো বলছিলেন তখন তার কপাল থেকে ঝর ঝর করে ঝরছিল ঘাম। এ চিত্র রোববার দুপুরের।

শুধু কাশেম নন, গত দুই সপ্তাহ ধরে ওয়াসার পানির বিল আর নতুন মিটার সংযোগ নেওয়ার টাকা জমা দিতে এমন ভোগান্তির শিকার হয়েছেন কয়েকশ’ গ্রাহক। 

গ্রাহকদের এই ভোগান্তির জন্য অবশ্য জনতা ব্যাংকের গাফেলতি নেই। মূলত ওয়াসার সার্ভারের কচ্ছপগতির কারণেই গ্রাহকদের এই ভোগান্তি-হয়রানি।
 
কারিগরি জটিলতার কারণে এখন বলতে গেলে ওয়াসার সার্ভারে ঢোকাই যাচ্ছে না। ‘লোডিং, লোডিং’ দেখিয়েই যাচ্ছে ক্রমাগত। ঈদের পর থেকেই এ জটিলতার শুরু। এ কারণে সমস্যায় পড়েছেন ওয়াসার রাজস্ব শাখার কর্মকর্তারাও। তারা বিলের কাগজ তৈরি করতে পারছেন না। আবার অনেক্ষণ অপেক্ষার পর সেটি তৈরি করে দিলেও গ্রাহকেরা সেটি ব্যাংকে জমা দিতে পারছেন না একই জটিলতায়।

প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে এমনটি হয়ে আসলেও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি ওয়াসা। ওয়াসার বাণিজ্যিক কর্মকর্তা আর সিস্টেম এনালিস্ট অফিসিয়াল সফরে এতদিন রাজশাহী ছিলেন। তাঁরা ভোগান্তি দূর করতে অন্য কাউকে দায়িত্ব না দেওয়ায় কেউ এ বিষয়ে উদ্যোগও নেননি।

রোববার(১৫ মে) বিল জমা দিতে না পেরে অনেক গ্রাহক ওয়াসার বাণিজ্যিক কর্মকর্তার দপ্তরে যান। 

সেই গ্রাহকদের একজন হলেন মোহাম্মদ আরিফ। তিনি মিটারের বিল জমা দিতে না পারেননি। আরিফ বলেন, ‘গ্রাহক যদি এতক্ষণ ধরে অপেক্ষায় থাকার পরও বিল দিতে না পারেন, তাহলে তারা যাবেন কোথায়। ব্যাংকে গেলে বলে ওয়াসাতে যান, সেখানে গেলে বলে ব্যাংকে যান।’

জনতা ব্যাংকের ওয়াসা ওয়াসা শাখার ব্যবস্থাপক অঞ্জনা রানী দেবীও বললেন, ‘সমস্যা আমাদের না, ওয়াসার সার্ভারের। সার্ভারের জটিলতার কারণে বিল পোস্টিং করা যাচ্ছে না। এ জন্য গ্রাহকদের সমস্যা হচ্ছে। সার্ভার ঠিক হয়ে গেলেও সমস্যাও মিটে যাবে। বিষয়টি ওয়াসাকে জানানো হয়েছে।’

সার্ভার জটিলতার বিষয়টি স্বীকার করেছেন বাণিজ্যিক কর্মকর্তা আবু সাফায়েত মোহাম্মদ শাহেদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমি রোববারই বিষয়টি শুনেছি। কেন না এতদিন একটা অফিসিয়াল ভ্রমণে ছিলাম। গ্রাহকদের কাছে অভিযোগ পাওয়ার পর তাঁদের নিয়ে ব্যাংকে যাই। পরে সবার বিল নেওয়ার ব্যবস্থা করি। আর সার্ভারের বিষয়টি দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।’

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়