চট্টগ্রামে চুরি যাওয়া মোটরসাইকেল কক্সবাজারে বিক্রি

নগরের পাঁচলাইশে চুরি যাওয়া একটি মোটরসাইকেল কক্সবাজার থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এসময়  সাব্বির হোসাইন প্রমানিক সজীব (১৯) নামে মোটরসাইকেল চোর চক্রের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৪ জুন) দুপুরে পিবিআইয়ের চট্টগ্রাম (মেট্টো) পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার মহেশখালী থানার ৩ নম্বর কালারমারছড়া ইউনিয়নের মাইজপাড়া এলাকা থেকে সজীবকে(১৯) গ্রেপ্তার করা হয়। সে একই এলাকার কফিল উদ্দিনের ছেলে। 

এ মামলায় অভিযুক্ত অন্যান্য আসামিরা হলেন, চকরিয়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের মো. জাফরের আলমের ছেলে মোহাম্মদ ছোটন (২২) ও  মৃত বজল আহমদের ছেলে মো. জুনাইদ (৩৫)।

পিবিআই জানায়, গেল ২০ মে রাতে মো. কলিম উদ্দিন সুজুকি ব্র্যান্ডের একটি মোটরসাইকেল নগরের পাঁলাইশ থানার আতুরার ডিপোর সংলগ্ন ফয়সাল মোটরসে মেরামতের জন্য দেন। ওই দিন রাত সাড়ে ১০ টায় তিনি মোটরসাইকেল নেওয়ার জন্য ওই  দোকানে যান। কিন্তু তিনি মোটরসের দোকানে গাড়ি না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করে দেন। এক পর্যায়ে কলিম উদ্দিন জানতে পারেন দোকানের কর্মচারী সাকিবসহ বেশ কয়েকজন মোটরসাইকেল চুরি করে পালিয়ে যায়। মোটরসাইকেল চুরির পর ভুক্তভোগী আদালতে মামলা দায়ের করে। আদালতের নির্দেশে মামলা তদন্ত ভার পড়ে পিবিআইয়ের হাতে। তদন্তের এক পর্যায়ে আসামি সাকিব ফেসবুকের ম্যাসেঞ্জারে মোটরসাইকেলটি কক্সবাজার জেলার মহেশখালীতে আছে বলে জানান। পরে ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে আসামি সাব্বির হোসাইনের কাছ থেকে মোটরসাইকেলটি থেকে উদ্ধার করে। 

সাব্বিরকে গ্রেপ্তারের পর পিবিআই জানায়, মোটরসাইকেলটি চুরির পর ইঞ্জিন ও চেসিস নম্বর পরিবর্তন করে রিদুয়ানুল ইসলামের কাছে ৫৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে। তিনি রিদুয়ানুলকে গাড়িটি বিক্রির আগে ট্যাম্পারিং অবস্থায় পাওয়ার কথা জানিয়ে নিজেই মেরামতের কাজ করেছে বলেও জানান। এরপর মোটরসাইকেলের মালিক মো. কলিম উদ্দিন পাঁচলাইশ থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।

-সিভয়েস/আরকে/এআর