Cvoice24.com

পদ্মা সেতুর উদ্বোধনে চট্টগ্রামে মিষ্টি বিলিয়েছে পুলিশ

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯:২৯, ২৫ জুন ২০২২
পদ্মা সেতুর উদ্বোধনে চট্টগ্রামে মিষ্টি বিলিয়েছে পুলিশ

সিএমপির মিষ্টি বিতরণ কার্যক্রম।

পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে থানায় সেবা নিতে আসা নাগরিকদের মিষ্টিমুখ করাচ্ছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। সিএমপির ১৬ থানা ও থানার আশেপাশের মানুষদের মধ্যে একযোগে দিনব্যাপী এই মিষ্টি বিতরণ করা হয়। 

শনিবার (২৫ জুন) নগরীর বিভিন্ন থানাতে ঘুরে এমন দৃশ্যের দেখা মেলে।  

সিএমপির অতিরিক্ত উপ কমিশনার (জনসংযোগ) শাহাদাত হুসেন রাসেল সিভয়েসকে বলেন, 'পদ্মা সেতু বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের জন্য আত্মগৌরব ও অহংকারের প্রতীক। জাতির এই গৌরবময় প্রাপ্তিকে স্মরণীয় করে রাখতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উদ্যোগে নগরবাসীর মধ্যে মিষ্টি বিতরণ কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়। নগরের সকল থানায় আগত সেবাপ্রার্থীদের পাশাপাশি থানা এলাকায় বসবাসরত জনসাধারণের মধ্যে একযোগে চলছে এই মিষ্টি বিতরণ কার্যক্রম।' 

পদ্মা সেতু নিয়ে নাগরিকদের পাশাপাশি নগরের পুলিশ কর্মকর্তাদের উচ্ছ্বাসও ছিল চোখে পড়ার মত। বিশেষ করে পদ্মার ওপাড়ে বাড়ি এমন পুলিশ সদস্যরা বলছেন পদ্মা সেতু হওয়ার আগে ছুটিছাটা উপভোগে তাদের যেসব বিড়ম্বনার মুখে পড়তে হতো তার অবসান হবে এবার। পাশাপাশি পদ্মার ওপাড়ের জেলাগুলোতে উন্নয়নের ছোয়া লাগবে। এমনকি এই সেতুকে কেন্দ্র করে ঝিমিয়ে পড়া দক্ষিণবঙ্গের শিল্প কারখানাগুলোও সচল হবে এমন আশাবাদের কথাও জানান কোন কোন পুলিশ কর্মকর্তা। 

তেমনই একজন সিএমপির স্টেট ডিপার্টমেন্টের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) এসএম মোস্তাইন হোসেন। তিনি যশোর জেলার স্থায়ী বাসিন্দা। সিভয়েসকে তিনি বলেন, 'এমনিতেই আমাদের পেশায় ছুটিছাটা কম। যা ছুটি পাওয়া যায় সেগুলোও দীর্ঘ সময়ের ছুটি না। আগে আমাদের বাড়িতে যেতে অনেক সময় লেগে যেত। এতে ছুটি সেভাবে উপভোগ করাও যেত না। এখন খুব কম সময়ে বাড়ি যাওয়া যাবে। ফলে ছুটির সময় নিয়ে আগের যে কষ্ট তা অনেকটা কমবে।' 

ব্যক্তিগত সুবিধার চেয়ে সমগ্র দক্ষিণ বঙ্গকে ঘিরে এই সেতু যে সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে সেটিকেই বড় করে দেখছেন জানিয়ে মোস্তাইন হোসেন বলেন, 'খুলনাকে শিল্পনগরী বলা হতো। অথচ যোগাযোগ সুবিধার অভাবে ধীরে ধীরে সেখানকার প্রায় সকল শিল্প কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। দক্ষিণাঞ্চলের ২১ টা জেলা এই যোগাযোগ সুবিধার অভাবে পিছিয়ে ছিল অনেকদিন। এই সেতু চালু হওয়ায় সেই সমস্যার সমাধান হলো। ফলে শিল্পায়ন আবার বাড়বে। এটা সরাসরি দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখবে। এসব কারণে এই সেতুটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ সবার কাছে।' 

পদ্মা সেতুকে স্বাধীনতার পর পুরো জাতির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অর্জন হিসেবে মন্তব্য করে অতিরিক্ত কমিশনার সানা শামীমুর রহমান বলেন, 'পদ্মা সেতু নিয়ে যে ধরণের ষড়যন্ত্র হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর দক্ষ নেতৃত্বে সেসব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে যে এই সেতু বাস্তবায়ন করতে পেরেছেন এটাইতো বিশাল অর্জন। এর ফলে পদ্মার দুই পাড়ের মানুষের যোগাযোগের নতুন দ্বার উন্মোচিত হলো। নতুন করে শিল্পায়ন হবে। বেকারত্ব সমস্যার একটা ভাল সমাধান হবে। দেশ অর্থনৈতিকভাবে অনেক বেশি এগিয়ে যাবে। আসলে এটি স্বাধীনতার পর এই জাতির সবচেয়ে বড় অর্জন।'

সিভয়েস/এআরটি

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়