Cvoice24.com

সরাইপাড়ার কাউন্সিলরের পুত্রবধূর মরদেহ উদ্ধার পুলিশের, হত্যার অভিযোগ 

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৫:১৯, ২ জুলাই ২০২২
সরাইপাড়ার কাউন্সিলরের পুত্রবধূর মরদেহ উদ্ধার পুলিশের, হত্যার অভিযোগ 

নওশাদুল আমিন ও নিহত রেহনুমা ফেরদৌস।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১২ নম্বর সরাইপাড়া ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুল আমিনের বাসা থেকে তার পুত্রবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। কাউন্সিলর নুরুল আমিনের পরিবার এটিকে আত্মহত্যা বলে দাবি করলেও এই মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার কথা বললেও পুলিশ মরদেহ পেয়েছে মেঝেতে শোয়ানো অবস্থায়। তাছাড়া পুলিশ মরদেহের গলায় দাগও পেয়েছে।

অন্যদিকে মারা যাওয়া রেহনুমা ফেরদৌসের (২৫) পরিবার জানিয়েছে, বিয়ের পর থেকে নিয়মিত শ্বশুর পক্ষের লোকজন তাকে নির্যাতন করতো। যৌতুক ও উপহার দেয়ার জন্যই এসব নির্যাতন করতো রেহনুমার শ্বাশুড়ি ও তার ব্যাংকার স্বামী নওশাদুল আমিন। এসব নিয়ে বিভিন্ন সময়ে পারিবারিক ও সামাজিক বৈঠকও হয়েছে।

শনিবার (২ জুলাই) সকাল ১০টায় পাহাড়তলী থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। 

রেহনুমা চসিকের আলকরণ ওয়ার্ডের প্রয়াত কাউন্সিলর ও নগর আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা তারেক সোলায়মান সেলিমের ভাই তারেক ইমতিয়াজের মেয়ে। রেহনুমার ২ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। 

জানা গেছে, রেহনুমার পরিবারের আর্থিক অবস্থা কাউন্সিলর নুরুল আমিনের তুলনায় খারাপ ছিল। রেহনুমাকে এসব নিয়ে প্রায়ই নির্যাতন করতো তার শ্বাশুড়ি ও স্বামী। এসব নির্যাতনের বিষয়ে একাধিক বৈঠকও হয়েছিল। এর মধ্যে এই ঘটনা ঘটলো। 

রেহনুমার বাবা তারেক ইমতিয়াজ সিভয়েসকে বলেন, 'আমরা গিয়ে আমার মেয়ের লাশ বিছানায় পেয়েছি। আমার মেয়েকে তারা নির্যাতন করতো। এটি একটি হত্যাকাণ্ড। আমরা মামলা করবো।'

রেহনুমার পরিবারের আরেক সদস্য সিভয়েসকে বলেন, 'সকালে রেহনুমা তার বাবার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে খোলা ফেসবুক গ্রুপে লিখেছিল তার সবার জন্য কষ্ট হচ্ছে। সে সবাইকে মিস করছে। এর কিছুক্ষণ পর আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে৷ তার লাশ পুলিশ ঝুলান্ত অবস্থায় পায়নি। গলায় দাগ ছিল, লাশের হাতের মুঠোতে কিছু চুলও ছিল। মনে হচ্ছে নির্যাতন করেই হত্যা করেছে।' 

পাহাড়াতলী থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান সিভয়েসকে বলেন, 'খবর পেয়ে সকাল ১০ টায় নিজ শয়নকক্ষ থেকে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছি। আমার যাওয়ার আগেই তার মরদেহ ফ্লোরে শোয়ানো ছিল। কাউন্সিলের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, ওই গৃহবধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তার গলায় দাগের চিহ্ন রয়েছে। বিষয়টি এখন তদন্ত করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের পর বিস্তারিত বলা যাবে এটা হত্যা না আত্মহত্যা।'

এদিকে কাউন্সিলর নুরুল আমিনের মোবাইলে একাধিকার কল করা হলেও তিনি কল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়