Cvoice24.com

গৃহবধুর মৃত্যু/
কাউন্সিলর পুত্রকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ 

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০:৫৮, ২ জুলাই ২০২২
কাউন্সিলর পুত্রকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ 

নওশাদুল আমিন

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১২ নম্বর সরাইপাড়া ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুল আমিনের বাসা থেকে তার পুত্রবধূর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় কাউন্সিলরের ছেলে নওশাদুল আমিনকে থানায় ডেকে নিয়েছে পুলিশ। লাশ উদ্ধারের পর থেকে এখন পর্যন্ত থানায় রয়েছেন নওশাদুল আমিন। তিনি পেশায় ব্যাংক কর্মকর্তা। 

জানা গেছে, রেহনুমা ফেরদৌসের (২৫) মরদেহ উদ্ধারের পর স্বামী নওশাদুল আমিনকে থানায় ডেকে নেয় পুলিশ। সেখানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। যদিও পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান সিভয়েসকে বলেছেন, 'উনাকে (নওশাদুল আমিন) কথা বলার জন্য ডেকেছি। উনার সাথে কথা বলছি। সেটাকে হেফাজতে বা আটক বলা যাবে না।'

শনিবার (২ জুলাই) সকাল ১০টায় কাউন্সিলর নুরুল আমিনের বাসা থেকে তার পুত্রবধূ রেহনুমা ফেরদৌসের (২৫)লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। কাউন্সিলরের পরিবার এটিকে আত্মহত্যা বলে দাবি করলেও রেহনুমার পরিবার বলছে এটি একটি হত্যাকাণ্ড। বিয়ের পর থেকেই যৌতুক ও উপহারের জন্য রেহনুমাকে নির্যাতন করছিল তারা স্বামী ও শ্বাশুড়ি। 

এসব নিয়ে চসিকের সাবেক মেয়র আজম নাছির উদ্দিনের বাসায় দুই পরিবারের সদস্যরা বৈঠকও করেছিল। সেখানে কাউন্সিলর নুরুল আমিনের পরিবার ভবিষ্যতে আর রেহনুমাকে শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন করবেনা বলে প্রতিশ্রুতি দেয়। তার ভিত্তিতে রেহনুমাকে শ্বশুর বাড়িতে পাঠায় তার পরিবার। এরপর কিছুদিন সব ঠিক থাকলেও আবার নির্যতন শুরু করে শ্বশুর পরিবার। রেহনুমার বাবা গতকালও রেহনুমাকে আনতে তার শ্বশুর বাড়িতে গিয়েছলেন। কিন্তু তার শ্বশুর পরিবার রেহনুমাকে বাবার সাথে যেতে দেয়নি। কোরবানির ইদের পর তারা রেহনুমাকে বাবার বাড়িতে পাঠানোর কথা বলেছিল। 

রেহনুমার বিষয়টি নিয়ে দুই পরিবারের মিমাংসা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব ও আবদুস সালাম মাসুমও। 

হাসান মুরাদ বিপ্লব বলেন, 'মাস তিনেক আগে আমরা দুই পরিবারের লোকজন নিয়ে বসেছিলাম তাদের অনুরোধেই। তারা সেখানে মিলমিশ হয়েছে। এরপর এই ঘটনা ঘটলো। খুব দুঃখজনক।'

এদিকে রেহনুমার লাশ পোস্ট মর্টেম শেষ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। শনিবার (২ জুলাই) এশার নামাজের পর আলকরণে রেহনুমার বাবার বাড়িতে তার জানাজা ও দাফন অনুষ্ঠিত হয়। দাফন শেষে তার মৃত্যুর ঘটনায় কাউন্সিলর নুরুল আমিন, তার স্ত্রী ও ছেলে নওশাদুল আমিনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে বলে রেহনুমার পরিবার সূত্রে জানা গেছে।

মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি বলেছেন, ‘এখন পর্যন্ত কেউ মামলা বা অভিযোগ নিয়ে থানায় আসেনি।’

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়