রেহনুমার মৃত্যু/
মামলার পর গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে স্বামীকে, আসামি শ্বাশুড়িও
সিভয়েস প্রতিবেদক
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১২ নম্বর সরাইপাড়া ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নুরুল আমিনের পুত্রবধূ রেহনুমা ফেরদৌসের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে নিহতের পরিবার। এ মামলায় রেহনুমার স্বামী নওশাদুল আমীন ও শ্বাশুড়ি পপিকে আসামি করা হয়েছে।
শনিবার (২ জুলাই) রাতে রেহনুমার বাবা তারেক ইমতিয়াজ বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের পর পুলিশ আগে থেকে থানায় ডেকে নেওয়া স্বামী নওশাদুল আমীনকে গ্রেপ্তার দেখানোর প্রক্রিয়া শুরু করে।
পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান সিভয়েসকে বলেন, 'রেহনুমা ফেরদৌসের বাবা একটা এজহার জমা দিয়েছেন। আমরা মামলা নিচ্ছি। মামলা রেকর্ড হলে এই মামলায় তার স্বামী নওশাদুল আমিনকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে।'
-
পুত্রবধূর জানাজায় যায়নি কাউন্সিলর আমিনের পরিবার, পাঠায়নি রেহনুমার মেয়েকেও
- সরাইপাড়ার কাউন্সিলরের পুত্রবধূর মরদেহ উদ্ধার পুলিশের, হত্যার অভিযোগ
- কাউন্সিলর পুত্রকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ
জানা গেছে, মামলার এজহার জমা দিতে শনিবার রাত ১১ টার দিকে থানায় যান রেহনুমার বাবা তারেক ইমতিয়াজ। তিনি প্রায় ২ ঘন্টা থানায় ছিলেন। এদিন দুপুর থেকেই থানায় পুলিশ হেফাজতে ছিলেন রেনুমার স্বামী নওশাদুল আমীন। এসময় শ্বশুরের সাথে কোন কথা বলেননি নওশাদুল আমিন। পুরা সময়ই তিনি মোবাইলে ব্যস্ত ছিলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, শনিবার সকাল ১০ টার দিকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১২ নম্বর সরাইপাড়া ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুল আমিনের বাসা থেকে তার পুত্রবধু রেহনুমা ফেরদৌসের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। কাউন্সিলর নুরুল আমিনের পরিবার এটিকে আত্মহত্যা বলে দাবি করলেও রেহনুমার পরিবারের দাবি এটি হত্যাকাণ্ড।
পরিবারের দাবি—— বিয়ের পর থেকে নিয়মিত শ্বশুর পক্ষের লোকজন রেহনুমাকে নির্যাতন করতো। যৌতুক ও উপহার দেয়ার জন্যই এসব নির্যাতন করতো রেহনুমার শ্বাশুড়ি ও তার ব্যাংকার স্বামী নওশাদুল আমিন। এসব নিয়ে বিভিন্ন সময়ে পারিবারিক ও সামাজিক বৈঠকও হয়েছে।