Cvoice24.com

‘সুকৌশলে’ মায়ের হত্যার বর্ণনা দিলেন বাবুলের ছেলে

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯:২২, ৪ জুলাই ২০২২
‘সুকৌশলে’ মায়ের হত্যার বর্ণনা দিলেন বাবুলের ছেলে

বাবুল আক্তারের ছেলে।

সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের দুই সন্তানকে তাদের মা মাহমুদা খানম মিতু হত্যায় হত্যা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্টো অঞ্চলের পরিদর্শক আবু জাফর মোহাম্মদ ওমর ফারুক। জিজ্ঞাসাবাদে বাবুল আক্তারের সন্তান মাহিরের সামনে মায়ের খুন হওয়ার বর্ণনা দিলেও তদন্ত কর্মকর্তার ধারণা— বাবুলের ছেলে আখতার মাহমুদ মাহির সুকৌশলে উত্তর দিয়েছেন। যা আগে থেকেই তাকে শিখিয়ে দেওয়া হতে পারে। 

সোমবার (৪ জুলাই) সকালে মাগুরা জেলার সদরে সমাজসেবা অধিদপ্তরের কার্যালয়ে বাবুল আক্তারের দুই সন্তান তের বয়সী ছেলে আখতার মাহমুদ মাহির ও সাত বছর বয়সী মেয়ে তাবাসসুম টাপুরকে আনা হয়। সেখানে প্রায় আড়াই ঘণ্টা সময় ধরে মাহিরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মেট্টো অঞ্চলের পরিদর্শক ও তদন্ত কর্মকর্তা আবু জাফর মোহাম্মদ ওমর ফারুক সিভয়েসকে বলেন,‘হত্যাকাণ্ডের দিন ছেলেটি মায়ের সঙ্গে ছিল। তদন্তের স্বার্থে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছি। তবে এখনই কিছু বলতে প্রকাশ করা সম্ভব না। অনেকের সামনে জিজ্ঞাসাবাদ করায় সে অনেক গুছিয়ে কথা বলেছে। আমাদের মনে হয়েছে কেউ তাকে এসব বিষয়গুলো শিখিয়ে দিয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তার উত্তর পেয়ে এমনটা মনে হয়েছে। তার মেমোরিতে যা মনে আছে সে বিষয়গুলো বলার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে ঘটনার সময় মেয়েটির বয়স কম থাকায় তাকে কিছু জিজ্ঞেস করা হয়নি।’

এক প্রশ্নের জবাবে পিবিআইয়ের এই তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘আদালতের বিধি অনুসরণ করে আমাদের তদন্ত কার্যক্রম এগিয়ে চলছে। তদন্তকে এগিয়ে নিতে প্রয়োজনে আবারও আদালতে জিজ্ঞাসাবেদর আবেদন করা হবে। আদালত যেভাবে নির্দেশনা দিবেন সে অনুযায়ী কাজ করা হবে।’

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরের জিইসি এলাকায় সাবেক পুলিশ সুপার মাহমুদা খানম মিতু খুন হন। স্ত্রীকে খুনের ঘটনায় পুলিশ বাবুল আক্তার বাদী হয়ে নগরের পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। হত্যাকাণ্ডের পরের বছর ২০১৭ সালে মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন নিজের মেয়েকে খুনের অভিযোগ তুলে থানায় পাল্টা মামলা করেন। নগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হাত ঘুরে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে বাবুল আক্তারের দায়ের করা মামলার তদন্তভার পড়ে পিবিআইয়ের ওপর। এরপর আস্তে আস্তে জট খুলতে থাকে দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টিকারী হত্যা মামলা।

গত বছরের ১১ মে বাবুল আক্তারকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পিবিআই। তদন্তে বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের লক্ষ্যে ১২ মে ওই মামলার ৫৭৫ পৃষ্ঠার চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয় পিবিআই। মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন বাদী হয়ে নগরের পাঁচলাইশ থানায় বাবুল আক্তারসহ আটজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার বাকি সাত আসামি হলেন মো. কামরুল ইসলাম শিকদার মুসা, এহতেশামুল হক প্রকাশ হানিফুল হক প্রকাশ ভোলাইয়া, মো. মোতালেব মিয়া ওয়াসিম, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. খাইরুল ইসলাম কালু, মো. সাইদুল ইসলাম সিকদার সাক্কু এবং শাহজাহান মিয়া। আদালতের নির্দেশে এখন শুধুমাত্র বাবুল আক্তারের দায়ের করা মামলাটির অধিকতর তদন্ত চলছে। ওই মামলায় বাবুল আক্তারকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

-সিভয়েস/আরকে
 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়