Cvoice24.com

মোনাজাতে কে কি বললো তার দায় জেলা প্রশাসকের ওপর বর্তায় না: তথ্যমন্ত্রী

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯:৫২, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২
মোনাজাতে কে কি বললো তার দায় জেলা প্রশাসকের ওপর বর্তায় না: তথ্যমন্ত্রী

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র গ্রহণের সময় আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীর মোনাজাতে জেলা প্রশাসকের অংশ নেওয়া প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘সেখানে শতশত মানুষের মধ্যে কেউ একজন মোনাজাত ধরেছে। মুসলমান হিসেবে এখানে যদি কেউ মোনাজাত ধরে আর আমি যদি এখানে মোনাজাত না ধরে দাড়িয়ে থাকি তাহলেতো আমাকে বলবে বিধর্মী। সেজন্য জেলা প্রশাসকও সেখানে মোনাজাত ধরেছেন। মোনাজাতের মধ্যে কে কি বললো, সেটার দায় জেলা প্রশাসকের ওপর বর্তায় বলে আমি মনে করিনা। 

শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রাম এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেশিয়াম হলে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘জেলা প্রশাসককে একটি শোকজ নোটিশ দেওয়া বা তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া ও তার বক্তব্য নেওয়া দরকার ছিল। বক্তব্য সন্তোষজনক না হলে ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারত। আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে একটি মোনাজাত ও কিছু পত্রিকার সংবাদকে উপলক্ষ করে যে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে আমি মনে করি সেটি তড়িগড়ি। এবং যার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়নি।’

এর আগে ২৪ সেপ্টেম্বর শনিবার মোনাজাতে অংশ নেওয়াকে সামনে এনে বক্তব্য খণ্ডিত ও বিকৃত করে একটি পক্ষ অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছিলেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান।  

এদিন জেলা প্রশাসক বলেন, গত ১৫ সেপ্টেম্বর ছিল জেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। বিভিন্ন প্রার্থীর অনেক কর্মী, সমর্থক, দলীয় নেতা এবং উৎসুক জনতায় পরিপূর্ণ ছিল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়। এমনকি বারান্দা থেকে নীচতলা পর্যন্ত উৎসুক জনতা। জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে একই তারিখে সকাল ১০ টা হতে সম্প্রীতি সমাবেশ, আসন্ন দুর্গাপূজার প্রস্তুতিমূলক বিশেষ সভা, বিভিন্ন দুর্ঘটনায় নিহত ও আহত ব্যক্তিদের চেক বিতরণের কর্মসূচী ছিল। সম্প্রীতি সমাবেশের প্রস্তুতিমূলক সভা চলাকালীন জেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলকারীরা একযোগে সম্মেলন কক্ষে প্রবেশ করেন এবং হুড়োহুড়ি করে জেলা প্রশাসকের নিকট মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।  

তিনি আরও বলেন, মানুষের ভিড়ের কারণে সভাকক্ষে এক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সাম্প্রতিক সময়ে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ব্যক্তিবর্গ, মিরসরাইতে রেলক্রসিং দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিবর্গ ও গত ১৪ সেপ্টেম্বর জোরারগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪ জন ব্যক্তির আত্মার মাগফেরাত কামনায় পূর্ব থেকেই মোনাজাতের সিদ্ধান্ত ছিল। মনোনয়নপত্র দাখিলকালীন ভিড়ের মধ্যে একজন মোনাজাত ধরেন। বিক্ষিপ্তভাবে সম্মেলন কক্ষে উপস্থিত অনেকেই মোনাজাতে অংশ নেয়। হৈ চৈ এবং বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যে সকলকে মোনাজাত পরিচালনায় নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হই। মোনাজাতে দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা এবং দুর্ঘটনায় নিহত ও আহত ব্যক্তিদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়। জেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রকার কথা মোনাজাতে বলা হয়নি।  

এছাড়া মোনাজাত নিয়ে মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে ডিসির বিরুদ্ধে অনাকাঙ্ক্ষিত, অনভিপ্রেত এবং দুঃখজনক অপপ্রচারের চেষ্টা চলছে জানিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে একে বিবৃতি, মানববন্ধন করে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে চট্টগ্রামের সুশীল সমাজ, ১০১ বীর মুক্তিযোদ্ধা, বাংলাদেশ উপজেলা পরিষদ অ্যাসোসিয়েশন চট্টগ্রাম বিভাগ।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়