Cvoice24.com

সুদীপ্ত হত্যা মামলায় লালখান বাজারের মাসুমসহ ২৪ আসামির বিচার শুরু

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৪:২৬, ৩ অক্টোবর ২০২২
সুদীপ্ত হত্যা মামলায় লালখান বাজারের মাসুমসহ  ২৪ আসামির বিচার শুরু

নিহত ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত বিশ্বাস

চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সহ সম্পাদক সুদীপ্ত বিশ্বাস হত্যা মামলায় লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম মাসুমসহ ২৪ আসামির বিরুদ্ধে বিচার শুরু আদেশ দিয়েছেন আদালত। আগামী ৩০ অক্টোবর সাক্ষী গ্রহণের দিন ধার্য করেছেন আদালত। এছাড়া এক আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

সোমবার (৩ অক্টোবর) দ্বিতীয় অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মো. আমিরুল ইসলামের আদালত এ আদেশ দেন। 

চট্টগ্রাম মহানগর পিপি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী সিভয়েসকে বিষয়টি জানিয়ে বলেন, ৬ষ্ঠ দফা পিছিয়ে সোমবার সুদীপ্ত হত্যা মামলার চার্জ গঠনের শুনানির জন্য দিন নির্ধারিত ছিল। আদালত আসামিদের ডিসচার্জ পিটিশন নামঞ্জুর করে ২৪ জন আসামির বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন। আগামী ৩০ অক্টোবর সাক্ষী গ্রহণের দিন ধার্য করেন আদালত। চার্জ গঠনের সময় ২৪ জন আসামির মধ্যে আবু জিহাদ সিদ্দিক নামে এক আসামি ছাড়া জামিনে থাকা অন্য আসামিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুপস্থিত আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। 

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনায় সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট সাব্বির আহমেদ শাকিল ও অ্যাডভোকেট সাহাব উদ্দিন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ৬ অক্টোবর সকালে নগরের সদরঘাটের দক্ষিণ নালাপাড়ায় নিজ বাসার সামনে মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক সুদীপ্ত বিশ্বাসকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার বাবা মেঘনাথ বিশ্বাস বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন।

থানা পুলিশ, ডিবির হাত ঘুরে মামলার তৎকালীন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। অভিযোগপত্রে মোট ২৪ জনকে আসামি করা হয়। এদের মধ্যে ১৮ জন বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তার হন। পরবর্তীতে ২৪ আসামির মধ্যে ২৩ জন জামিনে রয়েছেন। 

পিবিআই’র দেয়া চার্জশিটে সুদীপ্ত খুনের নির্দেশদাতা ও পরিকল্পনাকারী হিসেবে লালখানবাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম মাসুমের নাম উল্লেখ করা হয়। দিদারুল আলম মাসুমের পাশাপাশি খুনে সরাসরি জড়িত হিসেবে খাইরুল নূর ইসলাম ওরফে খায়ের, আমির হোসেন ওরফে বাবু, মোক্তার, জিহাদসহ ২৪ জনকে আসামি করা হয়। সাক্ষী করা হয়েছে ৭৫ জনকে। 

চার্জশিটে হত্যাকাণ্ডের বিবরণ দিয়ে বলা হয়, লালখানবাজার এলাকা থেকে আটটি অটোরিকশা করে দক্ষিণ নালাপাড়া গিয়েছিল হত্যাকাণ্ডে জড়িতরা। পিবিআই মামলার তদন্তভার নেওয়ার পর সাতটি অটোরিকশা জব্দ করে। জব্দ করা হয় একটি মোটরসাইকেলও। এসব অটোরিকশা চালকদের মধ্যে তিন জন সাক্ষী হিসেবে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়