Cvoice24.com

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং/
ঘরবাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব, দেখা নেই প্রশাসনের

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৪:৩৮, ২৫ অক্টোবর ২০২২
ঘরবাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব, দেখা নেই প্রশাসনের

পতেঙ্গা এলাকায় বিধ্বস্ত ঘরবাড়ি

নিজের সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব রাখাল দাশ অপলক তাকিয়ে আছে সমুদ্রের দিকে। গেল বছর মহাজন থেকে ঋণ দিয়ে বাঁধেন বেড়ার ঘর। একরাতেই বিধ্বস্ত সেই ঘর। বাবার রেখে যাওয়া লাল বোটই উপার্জনের একমাত্র সম্বল তার। সেটিও ভেসে গেছে উত্তাল সাগরে।

সাত মাস আগে সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে মারা যান ৬৫ বছর বয়সী রাজিয়া খাতুনের একমাত্র ছেলে সউত কাজী। ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ এর বিধ্বস্ত হয়েছে তার ঘরও। রাস্তার ধারে আক্ষেপ করতে করতে তিনি বলছিলেন, ‘এই সমুদ্র ছেলের আগে ছেলের বাপরে খাইছে। এখন আমার থাকার ঠাইটাও ভাসায় নিয়ে গেল। আর কত সর্বনাশ করবে এই দইজ্জা।’

রাখাল দাশের মতো বাড়িঘর গুঁড়িয়ে গেছে নগরের পতেঙ্গা রিং রোড এলাকার দেড় হাজার পরিবারের। এরমধ্যে আকমল আলী ঘাটেই ৫ শতাধিকের বেশি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত। ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ এর প্রভাবে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় বাড়িঘর হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা। তাদের অভিযোগ মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) পর্যন্ত কোন সহায়তা পাননি তারা।

চট্টগ্রাম ৩৯ নম্বর দক্ষিণ হালিশহরের কাউন্সিলর জিয়াউল হক সুমন সিভয়েসকে বলেন, ‘এখন সরকারের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে সব। সরকার যা সিদ্ধান্ত নিবে ওই অনুসারে কাজ হবে। তাছাড়া ব্যক্তিগত ভাবে নিজ থেকে একটু পর গিয়ে শুকনো খাবার দিয়ে আসবো।’ 

অন্যদিকে নগরের সমুদ্র উপকূলের ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদের ত্রাণ ব্যবস্থাপনা নিয়ে চট্টগ্রাম সিটি মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম সিভয়েসকে বলেন, আগে কাউন্সিলর থেকে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদের তালিকা করে আমাদের দিতে হবে। পরে চসিকের তরফ থেকে ত্রাণের ব্যবস্থা করা হবে।

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়