বোন ভাগিনাদের নিয়ে ঘুরতে এসে চট্টগ্রামে ঝরলো পুলিশ পরিদর্শকের প্রাণ
সিভয়েস প্রতিবেদক

দুই বোন, বোনদের তিন ছেলেমেয়ে এবং নিজের ছেলেকে নিয়ে কুষ্টিয়া থেকে বান্দরবান ঘুরতে যাচ্ছিলেন পুলিশ পরিদর্শক এস এম জাহিদ ইকবাল। বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টায় চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ঢাকা -চট্টগ্রাম মহাসড়কের নিজামপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে এলাকায় এলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে কালভার্টের সাথে ধাক্কা লাগে। এতে গাড়িতে থাকা পুলিশ পরিদর্শক জাহিদ ইকবাল ঘটনাস্থলে নিহত হন। আর মাইক্রোবাসে থাকা জাহিদ ইকবালের পরিবারের অন্য সদস্যরা গুরুতর আহত হয়।
আহতদের মধ্যে তিনজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার মাইক্রোবাসের চালক পলাতক রয়েছে।
জানা যায়, নিহত পুলিশ পরিদর্শক জাহিদ ইকবালের (৪৬) বাড়ি যশোর জেলায়। তিনি বর্তমানে চুয়াডাঙ্গায় পুলিশের বিশেষ শাখায় (ডিএসবি) শাখায় কর্মরত ছিলেন। এর আগে তিনি যশোর রানীসংকুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসাবে কর্মরত ছিলেন। তার স্ত্রীও পুলিশের একজন কর্মকর্তা।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে কুমিরা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাদাত হোসেন সিভয়েসকে বলেন, একটি মাইক্রোবাসে করে ড্রাইভারসহ ৮ জন যাত্রী নিয়ে কুষ্টিয়া থেকে বান্দরবনে ঘুরতে যাচ্ছিলেন স্যার (নিহত পুলিশ পরিদর্শক)। ধারণা করছি ঘুম চোখে নিয়েই ওই ড্রাইভার গাড়ি চালাচ্ছিলেন। নিজামপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে এলাকায় এলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে কালভার্টের সাথে ধাক্কা লাগে। পরে পেছন থেকে আরেকটি প্রাইভেটকার গাড়িটিকে ধাক্কা দেয়। এতে মাইক্রোবাসের সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হয়।'
তিনি আরও বলেন, 'গাড়িতে থাকা অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে স্যারের দুই বোন, এক বোনের দুই ছেলে এবং আরেক বোনের এক মেয়ে ও স্যারের ছেলেসহ সাতজন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দুই বোনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাকিরা সামান্য আঘাত পেয়েছেন। এ ঘটনার পর পরই ড্রাইভার পালিয়ে গেছেন।'
এ বিষয়ে চমেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুরুল আলম আশিক সিভয়েসকে বলেন, 'মিরসরাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনার ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় তিনজন হাসপাতালে এসেছেন। তাদের মধ্যে একজনের নাম নার্গিস, বাকি দুজনের নাম জানা যায়নি।'