Cvoice24.com

যেকোনো মূল্যে জলদস্যুদের দমন করা হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

সিভয়েস২৪ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭:৩৮, ৩০ মে ২০২৪
যেকোনো মূল্যে জলদস্যুদের দমন করা হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

যারা জলদস্যুতার পেশা থেকে ফিরে আসেননি, তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না এবং যেকোনো মূল্যে তাদের দমন করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

জলদস্যুদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘জলদস্যুতা আপনাদের জীবনে কখনও শান্তি ফিরিয়ে আনবে না। আমরা খুব শিগগির সমস্ত অঞ্চল জলদস্যু ও ডাকাত মুক্ত ঘোষণা করব। আমরা কাউকে ক্ষমা প্রদর্শন করবো না। যারা এ পেশা ত্যাগ করবে না, তারা কী দুঃসংবাদ লিখে নিয়ে যাবেন সেটা মহান আল্লাহ জানেন। কাউকে ক্ষমা করা হবে না।’

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে নগরের পতেঙ্গা র‌্যাব-৭ কার্যালয়ে ‘জলদস্যু আত্মসমর্পণ’ অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

এর আগে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে অস্ত্র জমা দিয়ে শর্তহীনভাবে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার উপকূলীয় অঞ্চলের ১২টি বাহিনীর মোট ৫০ জন জলদস্যু আত্মসমর্পণ করে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আজ (বৃহস্পতিবার) ১২টি গ্রুপের ৫০ জন জলদস্যু ৮০টি অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ করেছেন। চট্টগ্রামসহ উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষদের সিকিউরিটির জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে। এসব এলাকায় জলদস্যুরা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে।’

‘জলদস্যুতা আপনাদের জীবনে কখনও শান্তি ফিরিয়ে আনবে না। আমরা খুব শিগগির সমস্ত অঞ্চল জলদস্যু ও ডাকাত মুক্ত ঘোষনা করব। আমরা কাউকে ক্ষমা প্রদর্শন করবো না। যারা এ পেশা ত্যাগ করবে না, তারা কী দুঃসংবাদ লিখে নিয়ে যাবেন সেটা মহান আল্লাহ জানেন। কাউকে ক্ষমা করা হবে না।’ যোগ করেন তিনি।

র‍্যাবের প্রসংশা করে তিনি বলেন, ‘আজ এখানে একজন মহিলা জলদস্যুও আমাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। তারা কখনও অত্যাচারিত বা নিপীড়িত হয়ে বাধ্য হয়েই এসব কাজে জড়িয়ে থাকেন। স্থানীয় প্রভাবশালী লোকেরাও তাদের বাধ্য করেন এসব কাজে জড়াতে। জনগণের কাছে র‍্যাব একটি আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক। সুন্দরবনে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবন রক্ষায় ২০১২ সালে র‍্যাবকে টাস্কফোর্স হিসেবে দায়িত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। র‍্যাবের দুঃসাহসিক অভিযানে সুন্দরবন জলদস্যু মুক্ত হয়।’

র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মো.মাহবুব আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য এম আব্দুল লতিফ, পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, র‌্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো.তোফায়েল ইসলাম, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মিনা। আত্মসমর্পণকারী জলদস্যুদের মধ্যে বক্তব্য দেন মাহমুদ করিম ও জসীম উদ্দীন।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়

: