নগরে অন্যদিনের মতো কর্মচাঞ্চল্য, গাড়ি চলছে
‘কমপ্লিট শাটডাউন’ : এখনো ‘কমপ্লিট’ স্বাভাবিক
সিভয়েস২৪ প্রতিবেদক
কোটাবিরোধী আন্দোলনের আজ সারাদেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি চলছে। তবে সকাল থেকেই চট্টগ্রামে যান চলাচল স্বাভাবিক। কর্মসূচিকে ঘিরে সড়কে কোনো ধরনের প্রভাব পড়েনি। সকাল ১০টার দিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা নতুন ব্রিজ এলাকায় অবস্থান করার কথা ছিল। কিন্তু ওই সময়ে আন্দোলনকারীদের কাউকে সেখানে দেখা যায়নি।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম নগরের নতুন ব্রিজ, বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, ২ নম্বর গেট, জিইসি, চকবাজার, কোতোয়ালী এবং আগ্রাবাদ এলাকা ঘুরে অন্য দিনের মতোই স্বাভাবিক কর্মচাঞ্চল্য দেখা গেছে। সড়কে শাটডাউন কর্মসূচির তেমন কোনো প্রভাব নেই। কর্মজীবী মানুষ ছিলেন অফিসমুখী। পাশাপাশি যানবাহনও ছিল যাত্রীতে ভরপুর। গণপরিবহনের পাশাপাশি চলাচল করছে কিছু ব্যক্তিগত গাড়িও। তবে দূর পাল্লার গাড়ি বন্ধ রয়েছে।
চট্টগ্রাম নগরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রয়োজনে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হবে জানিয়ে নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (জনসংযোগ) কাজী মো. তারেক আজিজ সিভয়েস২৪-কে বলেন, ‘কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আমাদের নিয়মিত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় ফোর্স মোতায়েন বাড়ানো হতে পারে।’
এদিকে, নতুন ব্রিজ এলাকায় ঘটনাস্থলে থাকা নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) আশরাফুল করিম সিভয়েস২৪’কে বলেন, ‘এখানে (নতুন ব্রিজ) ছাত্র শিবিরের ছেলেরা সংঘবদ্ধ হওয়ার তথ্য পেয়েছি। তাদের প্রতিহত করার জন্য আমরা মাঠে নেমেছি। প্রচুর পরিমাণ বিজিবি এবং পুলিশ সদস্য মাঠে রয়েছে। বিজিবির তিনটি রায়ট কন্ট্রোল গাড়ি এবং দুই প্লাটুন বিজিবি মাঠে নেমেছে।’
চলমান কোটা আন্দোলনে ছাত্রলীগের হামলা, সাধারণ শিক্ষার্থীদের হত্যার ঘটনায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে ঢাবি প্রশাসনের নির্দেশে পুলিশের নির্বিচারে হামলার প্রতিবাদে সারাদেশে আজ ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করেন সংগঠনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ। বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাত পৌনে ৮টার দিকে তার ফেসবুক পোস্টে এক বিবৃতিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের ওপর পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, সোয়াটের ন্যাক্কারজনক হামলা, খুনের প্রতিবাদ, খুনিদের বিচার, সন্ত্রাসমুক্ত ক্যাম্পাস নিশ্চিত ও এক দফা দাবিতে আগামীকাল (১৮ জুলাই) সারাদেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা করছি।’
দেশের সব প্রতিষ্ঠানকে কর্মসূচি সফল করতে আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, ‘শুধুমাত্র হাসপাতাল ও জরুরি সেবা ব্যতীত কোনো প্রতিষ্ঠানের দরজা খুলবে না, অ্যাম্বুলেন্স ব্যতীত সড়কে কোনো গাড়ি চলবে না। সারা দেশের প্রতিটি স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, মাদরাসা শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানাচ্ছি আগামীকালকের কর্মসূচি সফল করুন।’