Cvoice24.com

নতুন ব্রিজ থেকে পিছু হটে আন্দোলনকারীরা বহদ্দারহাটে, পরিস্থিতি থমথমে

সিভয়েস২৪ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৪:০২, ১৮ জুলাই ২০২৪
নতুন ব্রিজ থেকে পিছু হটে আন্দোলনকারীরা বহদ্দারহাটে, পরিস্থিতি থমথমে

পুলিশের ‘অ্যাকশনে’ চট্টগ্রাম শাহ আমানত সেতু (নতুন ব্রিজ) এলাকা থেকে পিছু হটে নগরের বহদ্দারহাট এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। বহদ্দারহাট মোড়ের উভয়পাশে অন্তত ৫০০ শিক্ষার্থী অবস্থান করছেন। ‘কোটা না মেধা’, ‘ছাত্রলীগের গদিতে, আগুন জ্বালো একসাথে’ এবং পুলিশকে উদ্দেশ্য করে ‘ভুয়া, ভুয়া’ স্লোগান দিচ্ছেন সবাই। পুলিশ তাদের ঘিরে সতর্ক অবস্থানে থাকলেও পরিস্থিতি থমথমে রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) দুপুর ১টা থেকে দেড়টার দিকে বহদ্দারহাট মোড়ে এ চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, দুপুর ১২টার পর থেকেই বহদ্দারহাট কাঁচাবাজার এবং ট্রাফিক পুলিশবক্স সংলগ্ন রাস্তায় একে একে জড়ো হতে থাকেন আন্দোলকারী শিক্ষার্থীরা। সেখানে আগে থেকে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর অবস্থান থাকলেও শিক্ষার্থী জড়ো হওয়ার খবরে সেখানে আরো অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়। শিক্ষার্থীদের আশপাশেই অবস্থান নিয়েছেন তারা। শিক্ষার্থীরা ‘কোটা না মেধা’, ‘ছাত্রলীগের গদিতে, আগুন জ্বালো একসাথে’ এবং পুলিশকে উদ্দেশ করে ‘ভুয়া, ভুয়া’ স্লোগান দিচ্ছেন। 

এদিকে, বহদ্দারহাট মোড়ে সড়কের উভয়পাশে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেওয়ায় সেখানে যানবাহন চলাচল কমে গেছে। আশেপাশে কয়েকটি রিকশা দেখা গেলেও গণপরিবহন কিংবা সিএনজি অটোরিকশা নেই।

এর আগে, বেলা সাড়ে ১০টার দিকে 'কমপ্লিট শাটডাউন' কর্মসূচি সফল করতে নগরের নতুন ব্রিজ এলাকায় জড়ো হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। সেখানে আগে থেকেই পুলিশ এবং বিজিবির অবস্থান ছিল। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলে শিক্ষার্থী-পুলিশসহ বেশ কজন আহত হন। এসময় একজন শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানা গেছে। সেখান থেকে পুলিশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে 'শিবির' সন্দেহে আটক করে। 

নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান সিভয়েস২৪’কে সকালে বলেছিলেন, ‘তারা (শিক্ষার্থী) রাস্তা ব্যারিকেড দিয়ে গাড়ি ভাঙচুর করার চেষ্টা করেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও মানুষের জান-মালের নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা তাদেরকে সরিয়ে দিয়েছি। পুলিশের ওপর তারা পাল্টা আক্রমণ করেছে। তাদের যে আক্রমণাত্মক ভঙ্গি, এটা কোনো সাধারণ শিক্ষার্থীর হতে পারে না। আপনারা (সাংবাদিক), আমরা এবং জনগণ দেখেছে এখানে তারা অসৎ উদ্দেশ্যে ঢাকা-কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ করার জন্য এবং নাশকতা সৃষ্টির জন্য সমবেত হয়েছিলো। বেশ কয়েকজনকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। এখনো অভিযান চলমান আছে। অভিযান শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।'

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়

: