Cvoice24.com

বহদ্দারহাটে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা, গুলিবিদ্ধ দুই

সিভয়েস২৪ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৪:৪৪, ১৮ জুলাই ২০২৪
বহদ্দারহাটে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা, গুলিবিদ্ধ দুই

চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাটে অবস্থান নেওয়া আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর দফায় দফায় হামলা চালাচ্ছে দুর্বৃত্তরা। চান্দগাঁও আবাসিক এবং বহদ্দারহাট বাড়ি এলাকা থেকে বের হয়ে দফায় দফায় হামলা চালানো হচ্ছে। ছোড়া হচ্ছে গুলিও। সংঘর্ষে দুজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গুলিবিদ্ধ দুজন হলেন ইসমাইল হোসেন (৩১) এবং মোহাম্মদ ইলিয়াছ (২০)। এর মধ্যে ইসমাইল শিক্ষার্থী এবং ইলিয়াছ শ্রমিক। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, হামলাকারীদের মধ্যে ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা রয়েছেন। এদিকে সংঘর্ষ চলাকালে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ সদস্যদের সরে যেতে দেখা যায়। প্রায় আধ ঘণ্টা পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সাউন্ড গ্রেনেড, রাবার বুলেট, টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। সর্বশেষ পাওয়া খবরে, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালাচ্ছে। আন্দোলনকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে গেছেন। 

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) দুপুর ১টা ৫০ মিনিটের দিকে বহদ্দারহাট মোড়ে কোটাবিরোধী আন্দোলনে ত্রিমুখী এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এ প্রসঙ্গে বেলা ২টা ৪০ মিনিটের দিকে সিএমপি কমিশনার সাইফুল ইসলাম সিভয়েস২৪’কে বলেন, ‘বহদ্দারহাট মোড়ে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ অ্যাকশনে যায়।’

সংঘর্ষে দুজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর প্রসঙ্গে নগর পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘পুলিশ ফায়ারই করেনি। কেউ গুলিবিদ্ধ হবে কীভাবে?’

সরেজমিনে দেখা গেছে, দুপুর ১২টার পর থেকেই বহদ্দারহাট কাঁচাবাজার এবং ট্রাফিক পুলিশবক্স সংলগ্ন রাস্তায় একে একে জড়ো হতে থাকেন আন্দোলকারী শিক্ষার্থীরা। সেখানে আগে থেকে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর অবস্থান থাকলেও শিক্ষার্থীরা জড়ো হওয়ার খবরে সেখানে আরো অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়। শিক্ষার্থীদের আশপাশেই অবস্থান নিয়েছেন তারা। শিক্ষার্থীরা ‘কোটা না মেধা’, ‘ছাত্রলীগের গদিতে, আগুন জ্বালো একসাথে’ এবং পুলিশকে উদ্দেশ করে ‘ভুয়া, ভুয়া’ স্লোগান দিচ্ছেন। 

দুপুর ১টা ৫০ মিনিট নাগাদ হঠাৎ করেই স্থানীয় ছাত্রলীগ এবং যুবলীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীর ওপর হামলা চালায়। প্রথমে একদল নেতাকর্মী আসেন বহদ্দারহাটের মেয়র গলি থেকে। পরে আরেক দল আসে চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার সড়ক হয়ে। এ সময় তাদের হাতে কিরিচ, রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র দেখা গেছে।

আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থী বলেন, 'ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে অতর্কিত হামলা করেছে। আমাদের এক ভাই গুলিবিদ্ধ হয়েছে। পুলিশ আমাদের সামনেই ছিল। অথচ তারা আমাদের প্রটেক্ট করেনি। অধিকার আদায়ের দাবি নিয়ে রাজপথে নেমে আমাদের এভাবেই কি মার খেতে হবে?'

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পুলিশ এবং শিক্ষার্থীরা বহদ্দারহাট আরকান সড়কের পানি উন্নয়ন বোর্ডের কার্যালয়ের সামনে অবস্থা করছে এবং সেখানে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

ঘটনা প্রসঙ্গে জানতে চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদুল কবির ও  চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) মোখলেছুর রহমানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও সাড়া মেলেনি।

সিভয়েস/

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়

: