Cvoice24.com

সরেজমিন
চশমা হিলে নেতাকর্মীদের ঢল, পুলিশের বিশেষ নিরাপত্তা

সিভয়েস২৪ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২২:৩১, ৩ আগস্ট ২০২৪
চশমা হিলে নেতাকর্মীদের ঢল, পুলিশের বিশেষ নিরাপত্তা

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের বাড়িতে হামলার খবর শুনে নেতাকর্মীদের ঢল নেমেছে নগরের দুই নম্বর গেইট এলাকার চশমা হিলে। পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলাবাহিনী বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে বাসভবন ঘিরে। চট্টগ্রামের জননন্দিত সাবেক মেয়র ও প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছেলে শিক্ষামন্ত্রী নওফেল। 

শনিবার (৩ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার কিছু সময় পর এ হামলার ঘটনা ঘটে। এরপর চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, ১৪ দলের সমন্বয়ক ও নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজনসহ আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা চশমা হিলের বাসভবনে যান। এছাড়া মহিলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরাও সেখানে জড়ো হন। এ সময় তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। শিক্ষামন্ত্রীর মা হাসিনা মহিউদ্দিন সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘হামলাকারীরা ভবনের জানালা, দুটি গাড়ি ভাঙচুর করেছে। তবে প্রধান ফটক বন্ধ থাকায় ভবনে উঠতে পারেনি।’

নগর আওয়ামী লীগ বলছে, বিনা উস্কানিতে জামায়াত-শিবিরের চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা এ হামলা চালিয়েছে। সহ্যের সীমা অতিক্রম করছে উল্লেখ করে, পাল্টা আঘাতের সময় এসেছে বলেও মন্তব্য করেন নেতারা।

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের চশমা হিলের বাসভবনে হামলার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রহরা।

এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শনিবারের কর্মসূচির শুরু থেকে পুলিশের কোনো উপস্থিতি দেখা যায়নি। নিউমার্কেট মোড়ে প্রায় দু’ঘণ্টা অবস্থানের পর আন্দোলনকারীরা টাইগারপাস অভিমুখে রওনা করে। মিছিলটি টাইগারপাস পৌঁছলে একটি অংশ পুলিশ বক্সে ভাঙচুর চালায়। পরে মিছিলটি লালখান বাজারের দিকে গিয়ে বিশ্ববিখ্যাত বহুজাতিক কোম্পানি চট্টগ্রামের একমাত্র আউটলেট পুমা’র আউটলেটের সাইনবোর্ডে থাকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের ছবি লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। সেখান থেকে নগরের ওয়াসা মোড়ে চট্টগ্রাম-১০ আসনের সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন বাচ্চুর অফিসে অগ্নিসংযোগ করা হয়। ভাঙচুর করা হয় ভেতরে থাকা আসবাবপত্র।

পরে মিছিলটি জিইসি হয়ে দুই নম্বর গেট পৌঁছতেই একটি অংশ বের হয়ে আধা কিলোমিটার দূরে মেয়র গলির চশমা হিলে শিক্ষামন্ত্রীর বাসভবনে হামলা-ভাঙচুর চালায়। তবে হামলার সময় শিক্ষামন্ত্রী বাসায় না থাকলেও তাঁর মা হাসিনা মহিউদ্দিন অবস্থান করছিলেন। এরপরই সরকারদলীয় নেতাকর্মী ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে বহদ্দারহাট এলাকায়। সেখানে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরীর বাসভবনে হামলা চালানো হয়। মেয়রের প্রধান গেট লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুঁড়লেও হামলাকারীরা ভেতরে প্রবেশ করেনি। বহদ্দারহাট এলাকায় সংঘর্ষে তিনজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

হামলার প্রতিবাদে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আ.জ.ম নাছির উদ্দিন বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী বিএনপি-জামায়াত ও শিবির চক্রের পরিকল্পিত, ঘৃণ্য ও ন্যাক্কারজনক হামলা ও নাশকতায় সহ্যের সীমা অতিক্রম করেছে। আমরা এতদিন সংযত আচরণ করেছি। এবার সরাসরি পাল্টা আঘাতের সময় এসেছে। আজকে যারা আওয়ামী লীগ নেতাদের বাসভবন ও প্রতিষ্ঠানে হামলা করেছে তাদেরকে ভিডিও ফুটেজে ধারণকৃত ছবিতে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের বাড়ি-ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা আমরা জানি। তাদের বাড়ি-ঘর, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে পাল্টা আঘাত হানতে আমরা বাধ্য হবো।

সিভয়েস/শাসা/শারি/আশা

 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়

: