ড. ইউনূসকে চুবানি, খালেদাকে টুস করে পদ্মায় ফেলা নিয়ে মন্তব্য
এবার শুধু হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা
সিভয়েস২৪ প্রতিবেদক
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলবিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহম্মদ ইউনুসকে ‘চুবানি দিয়ে পদ্মা সেতুতে তোলা, আর খালেদাকে টুস করে নদীতে ফেলা উচিত’ মন্তব্য করে দেওয়া বক্তব্যের জেরে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের আদালতে মামলা হয়েছে। ‘হত্যার হুমকির’ অভিযোগ এনে মামলাটি করেছেন সৌরভ প্রিয় পাল নামে এক সাবেক ছাত্রদল নেতা।
রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিটকে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে বে-আইনি পন্থায় সকল বাহিনী এবং প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করতেন। ২০২২ সালের ১৮ মে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন। যেখানে তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতুতে নিয়ে খালেদা জিয়াকে টুস করে ফেলে দেওয়া উচিত’। একইসঙ্গে পদ্মা সেতুর অর্থায়ন বন্ধের চেষ্টায় নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে পদ্মা নদীতে দুটি চুবানি দিয়ে সেতুর ওপর তোলা উচিত বলে মন্তব্য করেন।
এসব মন্তব্যের মাধ্যমে বিষোদগার করে বেগম খালেদা জিয়া ও দেশের একমাত্র নোবেল লরিয়েট ড. ইউনূসকে হত্যার সুপ্ত ইচ্ছা ব্যক্ত ও মানহানি করেছিলেন। তিনি বেগম খালেদা জিয়া ও ড. ইউনূসকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দিয়ে এবং হত্যার ষড়যন্ত্র করে, হত্যার জন্য প্ররোচনা দিয়ে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠন তথা ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষকলীগের সন্ত্রাসীদের প্ররোচিত করেছিলেন।
মামলার বিষয়টি সিভয়েস২৪কে নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম। তিনি সিভয়েস২৪ বলেন, ‘২০২২ সালের ১৮ মে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী একটি সংবাদ সম্মেলনে তার দেওয়া বক্তব্যে সাবেক বেগম খালেদা জিয়া এবং বর্তমান প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস সাহেবকে পদ্মা সেতু থেকে ফেলে দেওয়ার অভিপ্রায় জানান। যেটির দ্বারা তাদেরকে হত্যার সুপ্ত ইচ্ছা ব্যক্ত ও মানহানি হয়। তখন পরিস্থিতি বিবেচনায় বাদী মামলা না করলেও বর্তমানে যেহেতু বাকস্বাধীনতা ফিরে এসেছে তাই নগর ছাত্রদলের একজন সাবেক নেতা বাদী হয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে একমাত্র আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।’
‘আদালত মামলার বাদীর জবানবন্দী গ্রহণ করে মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তদন্তটি যেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বা সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তার নিচের কাউকে দিয়ে না করানো হয় সে বিষয়েও আদালত একটি নির্দেশনা দিয়েছেন।’— যোগ করেন বাদীর আইনজীবী।