বিস্ফোরক মামলায় কাশিয়াইশ ইউপির সাবেক চেয়ারম্যাান রিমান্ডে
সিভয়েস২৪ ডেস্ক
পটিয়ার কাশিয়াইশ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বিএনপির অফিস ভাঙচুর ও বিস্ফোরক মামলায় এ আদেশ হয়েছে। রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার ইকবালের আদালত এ আদেশ দেন।
বিএনপি নেতা মোহাম্মদ আলী আহমদ বাদি হয়ে গত ২০ আগষ্ট ৭৫ জনের নাম উল্লেখ করে বিস্ফোরক আইনে মামলাটি দায়ের করেন। ওই মামলায় সাবেক এমপি সামশুল হক চৌধুরীকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাত আরও ২০০/৩০০ জনকে আসামি করা হয়।
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফোরকানুল ইসলাম বলেন, যেহেতু এ মামলার আসামি আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও ঘটনার সময় সরাসরি গুলি করার অভিযোগ রয়েছে এজাহারে। এখনো পর্যন্ত সেই অবৈধ অস্ত্র গুলো উদ্ধার করা হয় নি। এসব বিষয়ে আমরা আদালতে অবহিত করেছি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত এক দিনের রিমান্ড মন্জুর করেছেন।
এরআগে, গত ১৯ আগষ্ট রাতে পটিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী মো. নুরুল হাসান বাদী হয়ে সাবেক এমপি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীকে প্রধান আসামি করে ৭৯ জনের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাত ৩০০ জনকে আসামি করা হয় পেনাল কোড ও গুলি এবং বিস্ফোরক মামলাটি। এ মামলায় কাশিয়াইশ ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেমকে আটক দেখিয়ে পটিয়া থানা পুলিশ গত ২০ আগষ্ট আদালতে পাঠানো হলে পটিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তাররাহুম আহমেদ তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ১৯ আগষ্ট রাতে কাশিয়াইশ ইউনিয়নের বুধপুরা এলাকার নুর আয়শা বাদী হয়ে পটিয়া থানায় একটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন কাশেম চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। মামলায় কাশেম চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামী করে আরো অজ্ঞাত ১০/১২ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় ২০ আগষ্ট আদালত তাকে জামিন দিলেও পটিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীর করা পেনাল কোড ও গুলি বিস্ফোরক মামলা কাশেম চেয়ারম্যানের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
এরআগে, গত ১৮ আগষ্ট উপজেলার কাশিয়াইশ ইউনিয়ন পরিষদের বির্তকিত চেয়ারম্যান আবুল কাশেম সকালে পরিষদে যাওয়ার পর হাজার হাজার বিক্ষুব্ধ জনতা তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। এসময় খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর টিম পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে তাকে উদ্ধার করে পটিয়া থানায় নিয়ে আসে দুপুরে।
এসময় পরিষদ থেকে সেনাবাহিনীর টিম তাকে উদ্ধার করে আনার সময় ঝাড়ু ও জুতা মিছিল করেন হাজারো বিক্ষুব্ধ জনতা। তারা বিভিন্ন গাড়িতে করে মিছিল সহকারে থানায় এসে জড়ো হন। থানায় এসে হাজারো বিক্ষুব্ধ জনতা থানার গেইটের রাইরে অবস্থান নেন সারাদিন। তাদের সাথে যোগ দেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা।
কাসেম চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সেদিন একাধিক লিখিত ৮টি অভিযোগ জমা দিয়েছিলেন ভুক্তভোগী ও বিক্ষুব্ধ জনতা।
গত ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর কাসেম চেয়ারম্যান আত্নগোপনে ছিলেন। ১৮ আগষ্ট তিনি চেয়ারম্যানের চেয়ার দখলে নিতে পরিষদে আসলে জনরোষের শিকারে পরিনত হয়ে এখনো পর্যন্ত কারাগারে আছেন। তার বিরুদ্ধে বাড়িঘর, জমি দখলসহ এলাকায় বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।