Cvoice24.com

মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধে ভরা শেভরণের দুই ফার্মেসি

সিভয়েস২৪ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৫:৩১, ১ অক্টোবর ২০২৪
মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধে ভরা শেভরণের দুই ফার্মেসি

চট্টগ্রামের ‘নামিদামি’ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের একটি শেভরণ ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি। অথচ সেখানেই কখনো মেয়াদোত্তীর্ণ রি-অ্যাজেন্ট দিয়ে প্যাথলজি পরীক্ষা, আবার কখনো মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধে ভরা থাকে ফার্মেসি! শুধু তাই নয়, ওষুধের ‘পকেট কাটা’ দাম। প্রতিবারই প্রতিষ্ঠানটি হাতেনাতে ধরা পড়ে জরিমানা গুনে ভুলের ‘দায়’ দেয় তৃতীয় কোন পক্ষের ওপর।

মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) প্রতিষ্ঠানটিতে অভিযান চালায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। অভিযানে দ্বিতীয় ও ষষ্ঠ তলায় থাকা দুটি ফার্মেসিতে বিপুল সংখ্যক মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ জব্দ করে সংস্থাটি। যেখানে কাঁশি, অন্টিবায়োটিক ও ডায়াবেটিকের ওষুধও পাওয়া গেছে। 

ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর বলছে, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধগুলো প্রতিষ্ঠানটি বিক্রির উদ্দেশ্যে মেয়াদ আছে এমন ওষুধের সঙ্গেই সংরক্ষণ করছিলো। শেভরণ ক্লিনিকের ল্যাবরেটরি লিমিটেডের জিএম পুলক পারিয়াল মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ থাকার বিষয়টি স্বীকার করলেও ফার্মেসি দুটি ভাড়ায় চলছে বলে দাবি করেন। যদিও জরিমানা গুনতে হয়েছে ‘শেভরণ ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি’কেই। প্রতিষ্ঠানটিকে এসব অপরাধে ২ লাখ ৪ হাজার টাকা জরিমানা গুনতে হয়েছে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় ও মহানগর কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ ও সহকারী পরিচালক নাসরিন আক্তার ও রানা দেব নাথ এ অভিযান পরিচালনা করেন।

শেভরণ ক্লিনিকের ল্যাবরেটরি লিমিটেডের জিএম পুলক পারিয়াল বলেন, ‘আমরা এসব ফার্মেসি করতে ভাড়া দিয়েছি। তবে তাদের এমন কাজের জন্য তাদের ডাকিয়েছি। তাদের সঙ্গে মিটিং চলছে। তাদের সতর্ক করা হবে। তারা যদি পুনরায় এমন কাজ করে তাহলে তাদের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করা হবে।’

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়

: