পতেঙ্গায় জাহাজে জাহাজে চাঁদাবাজি, বিএনপির দুপক্ষে সংঘর্ষ
সিভয়েস২৪ প্রতিবেদক
চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গা এলাকার ডিস ব্যবসা, বালুর জাহাজ এবং ঘাট থেকে চাঁদাবাজির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিএনপির দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে আহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। নগর কৃষকদলের আহ্বায়ক মো. আলমগীরের অনুসারী ইসমাইল, সাহাবুদ্দিন, নাছিরের সঙ্গে আজম গ্রুপের ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তবে আজমের দলীয় কোনো পদ-পদবি নেই।
স্থানীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও সিলেট থেকে বালু ও ক্লিংকার নিয়ে বিভিন্ন লাইটারেজ জাহাজ পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতে নোঙর করে। আর এসব জাহাজ থেকে ৫০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করা হয়। চাঁদা না দিলে দলবল নিয়ে হামলা চালানো হয় জাহাজে।
৫ আগস্ট সরকার পতনের আগে ঘাট এবং বালুর জাহাজ থেকে চাঁদা আদায়ের বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করতো ৪০ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাহাবুদ্দিন শাবু। তিনি নগর স্বেচ্ছসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান আজিজের অনুসারী।
সরকার পতনের পরেই সাহাবুদ্দিন আত্মগোপনে যান। এরপর এসব দখলদারির নিয়ন্ত্রণ নেন নগর কৃষক দলের আহ্বায়ক মো. আলমগীরের অনুসারীরা। এদিকে, পতেঙ্গায় বিএনপির নেতা পরিচয়দানকারী ডেইলপাড়ার বাসিন্দা আলী আজম ও চরপাড়ার ফারুক এসব চাঁদাবাজির দখল নিতে মরিয়া হয়ে ওঠেন। আজ সকালে দুই বিএনপির এই দুপক্ষই পতেঙ্গা সৈকতে যায়। একপর্যায়ে আধ্যপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে।
তবে, সৈকতে চাঁদাবাজির বিষয়টি অস্বীকার করে নগর কৃষকদলের আহ্বায়ক মো. আলমগীর সিভয়েস২৪’কে বলেন, ‘আমাদের ৩৬ বছর পুরোনো ডিস ব্যবসা। আর এই ডিসের বিল ভুয়া কাগজ বানিয়ে তুলতে চাচ্ছিলো আজমের ক্যাডার বাহিনী। আজ সকালে পতেঙ্গা সৈকতে আজম বহিরাগত ছেলেদের নিয়ে আমার গ্রুপের ছেলেদের ওপর হামলা চালায়। আমি আজ সকালেই ঢাকা থেকে এসেছি। আমি সৈকতে চাঁদাবাজির বিষয়ে অবগত নই এবং মাথাও ঘামাই না।’
পতেঙ্গা থানা বিএনপি’র সভাপতি নুরুল আবছার সিভয়েস২৪’কে বলেন, ‘বালুর জাহাজ থেকে এবং সৈকতে চাঁদার নিয়ন্ত্রণ নিতে আজ সকালে আলমগীর এবং আজম গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের খবর শুনেছি। তবে আমি অন্য কাজে থাকায় বিস্তারিত জানতে পারিনি।'
এ সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ পাননি জানিয়ে পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটলে কেউ অভিযোগ করলে তাকে আমরা গ্রেপ্তার করে চাঁদাবাজির মামলা রুজু করে ব্যবস্থা নেব। আইনগতভাবে এ বিষয়ে কোনো ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই।’