এলপিজি জাহাজে আগুন, কারণ জানতে কমিটি
সিভয়েস২৪ প্রতিবেদক
কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাসবাহী (এলপিজি) জাহাজ ‘সুফিয়ায় আগুন লাগার কারণ অনুসন্ধান ৯ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
রবিবার (১৩ অক্টোবর) নৌপরিবহন এবং বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেনের নির্দেশে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (হার্বার অ্যান্ড মেরিন) কমোডর এম ফজলার রহমানকে। কমিটিতে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, ডিজিএফআই, এনএসআই, নৌপরিবহন অধিদপ্তরসহ অন্যান্য সংস্থার প্রতিনিধিরাও রয়েছেন। এই কমিটিকে আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
তদন্ত কমিটিকে এমটি ক্যাপ্টেন নিকোলাস এবং বি. এলপিজি সোফিয়া জাহাজে অগ্নিকাণ্ডের কারণ উদঘাটন, এলপিজি পরিবহনে জাহাজ এবং জাহাজ সমূহের নাবিকদের আন্তর্জাতিক মানদণ্ড নির্ণয়, পরিবাহিত এলপিজির পরিবহন ও উপযুক্ততা নিরূপণ, অগ্নিদুর্ঘটনার ফলে সংগঠিত ক্ষয়ক্ষতি ও দায় দায়িত্ব নিরূপণ, ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা রোধে সুপারিশ প্রণয়ন এবং সংশ্লিষ্ট যেকোনো বিষয় পর্যালোচনাপূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
তানজানিয়ার পতাকাবাহী এমটি ক্যাপ্টেন নিকোলাস গত সোমবার (৭ অক্টোবর) চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের কুতুবদিয়া এ্যাংকরেজ এলাকায় এলপিজি গ্যাস খালাস করার জন্য আসে। পরবর্তীকালে বিএলপিজি সোফিয়া জাহাজ এমটি ক্যাপ্টেন নিকেলাস জাহাজ থেকে এলপিজি লাইটিং কার্যক্রম শুরু করে। লাইটারিং চলাকালে শনিবার (১২ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১টার দিকে এমটি ক্যাপ্টেন নিকেলাস জাহাজের ডেকে আগুন লেগে যায়। পরবর্তীকালে বিএলপিজি সোফিয়া জাহাজেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং বড় অগ্নিকাণ্ড সৃষ্টি করে। আগুন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে বিএলপিজি সোফিয়া জাহাজের সব নাবিক পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। পরবর্তীকালে টাগ তুফান এক্সপ্রেস ৩১ জন নাবিককে জীবিত উদ্ধার করে।
এর আগে, চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গায় ইস্টার্ন রিফাইনারির ক্রুড অয়েল বহনকারী বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের দুটি জাহাজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরপর পৃথক দুটি ঘটনায় বিএসসি নাশকতার আশঙ্কা করছিল।