মহিউদ্দিনের নগর সরকারে ‘আস্থা’ শাহাদাতের
মিনহাজ মুহী, সিভয়েস২৪
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) সাবেক মেয়র প্রয়াত মহিউদ্দিন চৌধুরীর সেই ‘সিটি গর্ভমেন্ট’ ফর্মূলাতে ‘আস্থা’ রাখলেন সংস্থাটির চেয়ারে বসা সদ্য মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। সেবা সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয়হীনতার প্রশ্নে ‘সিটি গর্ভমেন্ট’ বা ‘নগর সরকার’ এর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে তাঁর অবস্থানের কথা জানান দিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দায়িত্বভার গ্রহণের পর চসিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ডা. শাহাদাত নগর সরকারের বিষয়টি সামনে আনলেন।
সম্প্রতি ঢাকায়ও নানা আলোচনায় নগর সরকারের বিষয় তুলে ধরার কথা জানিয়ে চসিক মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘আমি সম্প্রতি বেশ কিছু টকশোতে অংশ নিয়েছি। অনেক মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলেছি। সবখানে আমি একটি কথা তুলে ধরেছি, সেটি হলো নগর সরকার। নগর সরকার যদি প্রতিষ্ঠা হয় তাহলে সমস্ত সেবাদানকারী সংস্থাকে এক ছাতার নিচে আনা যাবে। কাজেই সিটি করপোরেশন যেহেতু এমন একটি প্রতিষ্ঠান যেটি জনপ্রতিনিধিদের অধীনে পরিচালিত হয়। তাই সমস্ত সেবাপ্রদানকারী সংস্থা যদি কাজ করে তাহলে পরিকল্পিত উন্নয়ন সম্ভব।’
তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে নগর সরকার বাস্তবায়ন সময়সাধ্য ব্যাপার উল্লেখ করে শাহাদাত বলেন, ‘এটা যেহেতু সময়সাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবু আমি আপ্রাণ চেষ্টা করবো যেসব সেবাপ্রদানকারী সংস্থা আছে; তাদের সাথে সমন্বয় করার।’
১৯৯৪ সালে এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথমবারের মতো ‘নগর সরকার’ প্রস্তাবনা তুলে ধরেন আনুষ্ঠানিকভাবে। পরে তার ‘শিষ্য’ সাবেক মেয়র এম মনজুর আলমও ‘গুরু’ মহিউদ্দিনের ওই ফমূর্লায় একমত হয়ে নগর সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনের দাবি জানিয়েছিলেন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধ পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা প্রথম কাজ
দায়িত্ব নিয়েই ডেঙ্গুকে সংস্থাটির ইমার্জেন্সি ক্রাইসিস উল্লেখ করে ডেঙ্গু প্রতিরোধই প্রথম কাজ বলে ঘোষণা দিয়েছেন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। মশার ওষুধ পরীক্ষার কথা জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘মশক নিধনে যে স্প্রে ব্যবহার করা হয় সেটি আমি পরীক্ষা করতে চাই। এমন কোন স্প্রে আমি চাইনা যে স্প্রে দিলে মশা লাফ দিয়ে ওড়ে যাবে। মশা মরছে কি না সেটা দেখতে হবে, না মরলে সে ওষুধ আমি গ্রহণ করবো না।’
সভায় প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গণসচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি ডেঙ্গু প্রতিরোধ সেল গঠনের নির্দেশ দেন কর্মকর্তাদের। যেখান থেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাসহ যাবতীয় খোঁজ খবর নেবেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা। প্রয়োজনবোধে সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে সর্বোচ্চ সুচিকিৎসা তদারকি করবেন খোদ মেয়রই।
মেয়র বলেন, ডেঙ্গু ম্যানেজমেন্ট সেল সেন্টার চসিকের উদ্যোগে করতে এবং একটা হটলাইন দ্রুতই হবে। যেকোনো জায়গায় কোনো ডেঙ্গু রোগী যদি থাকে কোনো সমস্যায় পড়ে তিনি হটলাইনে কল করবে; আমরা যারা ডাক্তার আছি তারা কাউন্সিলিং করবো। এছাড়া, যদি কোনো জায়গায় ফগিং স্প্রে যদি কোথাও না হয় আমাদের সেখানে সরাসরি যেতে হবে কাজ করতে হবে। কেউ যদি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে যায়, পরীক্ষানিরীক্ষা করার পর যদি বুঝতে পারি যে তার বাজে অবস্থা তাহলে আমরা ডেঙ্গু ম্যানেজমেন্ট সেল সেন্টারের মাধ্যমে একটা ব্যবস্থা নিব।
আরেকটি জিনিস চিন্তা করছি, ৪১ ওয়ার্ডে অভিযান চালাবো। সেখানে যে সচিবরা রয়েছে; তাদের উদ্যোগে সেখানে ডেঙ্গু হেল্প ম্যানেজমেন্ট সেন্টার থাকবে। আমাদের কার্যালয়ে এসে তারা কথা বলতে সেখান থেকে সিরিয়াস রোগীগুলো আমরা সুনির্দিষ্ট হাসপাতালে সেবার ব্যবস্থা করবো। আমাদের মনে রাখতে হবে, যখনই কোনো জরুরি আসে সেটার উপর আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে। এখন জরুরি হচ্ছে ‘ডেঙ্গু এবং ক্লিনিং অ্যাকটিভিটিস’। এদিক দিয়ে আমাদের গুরুত্ব দিয়ে ওটার ওপর কাজ করতে হবে।
পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের হুঁশিয়ারবার্তা
পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান নিজে তদারকির কথা জানিয়ে মেয়র ডা. শাহাদাত বলেন, আমি নিজে সব স্পটে যাব। সকালে বেশিক্ষণ অফিসে থাকবো না। আধ ঘণ্টা, এক ঘণ্টা। এরপর আমি নিজেই বেরিয়ে যাব। পরিচ্ছন্নতা বিভাগের লোকজন, মশক নিধনের দায়িত্বে যারা আছে তারা আমার সঙ্গে থাকবেন।
পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের হুঁশিয়ার বার্তায় মেয়র বলেন, ‘বিভিন্ন ওয়ার্ডে ২ হাজার কর্মী কাজ করছে। আমি প্রতিটি ওয়ার্ডে গিয়ে তাদের স্বশরীরে দেখতে চাই। যদি কাউকে আমি না দেখি, আমি অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলছি, তাদের চাকরি হয়তো নাও থাকতে পারে। আমাকে অনেক কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে। কারণ আমি বারবার বলছি আমি এ চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করার জন্য এ সিটি করপোরেশনে মেয়র হিসেবে এসেছি।’
সিটি করপোরেশনের বাইরে রাজনীতির আলাপ
মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিনেই সিটি করপোরেশনে রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে ‘জটলা’ না পাকানোর কথা বলেছেন নগর বিএনপির সাবেক এ আহ্বায়ক। তিনি বলেন, ‘আমি রাজনীতিবিদ সে রাজনীতি এ সিটি করপোরেশনের বাইরে। আমি আমার সমস্ত নেতাকর্মীদের বলতে চাই আপনারা আমাকে কাজের সময় ডিস্টার্ব করবেন না। আমি আপনাদের সাথে রাজনীতি করবো ৫টার পরে। এখানে রাজনীতির আলাপ নিয়ে কেউ আসবেন না।’
ভবন মালিক-ব্যবসায়ীদের পরিচ্ছন্নতায় জোর
নগরের সব ভবন মালিক ও ব্যবসায়ীদের নিজস্ব ভবন-প্রতিষ্ঠানের সম্মুখ অংশ নিজ দায়িত্বে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার আহ্বান জানিয়েছেন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। ভবন এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বিন বসিয়ে দেওয়ার কথা জানিয়ে বিনের বাইরের ময়লা নিজ গরজে অপসারণে জোর দেন তিনি। নইলে আইনগত ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দেন।
মেয়র বলেন, ‘যে দোকানগুলো আছে, আপনাদের দোকানের সামনে ডাস্টবিন বসিয়ে দেব। আপনাদের দোকানের সামনেও যদি কোন ময়লা পড়ে থাকে তাহলে বিনে ওঠাবেন। নয়তো আমি আইনগত ব্যবস্থাতে যাব। হোল্ডিং ট্যাক্স নয়তো ট্রেড লাইসেন্স বাতিল হয়ে যেতে পারে। এ ধরনের অভিযান আমি নিজেই পরিচালনা করবো। আপনারা কর্মকর্তারা আমার সাথে থাকবেন। আমি রাজনীতি করেই বড় হয়েছি। আমাকে ভয় দেখাবেন না’
বাড়তি হোল্ডিং ট্যাক্সের দরকার নেই, রাজস্ব বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ‘সাধু-সাবধান’
বাড়তি হোল্ডিং ট্যাক্সের দরকার নেই জানিয়ে আগের হোল্ডিং ট্যাক্সই সম্পূর্ণভাবে আদায়ে জোর দিয়েছেন সাড়ে ৪শ কোটি টাকার বেশি দেনা নিয়ে চেয়ারে বসা মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। একইসঙ্গে রাজস্ব বিভাগের ‘সাধু’ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাবধান করেছেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমার হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়ানোর কোনো দরকার নেই। যেই হোল্ডিং ট্যাক্স আমরা আগে দিয়ে আসছি, সেই হোল্ডিং ট্যাক্স যদি আমরা ঠিকমতো পাই; ইনশাআল্লাহ চসিকে বেতন দেওয়ার জন্য আর কোনো সমস্যায় পড়তে হবে না।’
আগের হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় করতে না পারার কারণ উল্লেখ করে নতুন মেয়র ডা. শাহাদাত বলেন, হোল্ডিং ট্যাক্সগুলো আমরা নিতে পারছি না বিভিন্ন কারণে। আওয়ামী লীগ সরকারের অনেকেই হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়িয়েছে। আগের যে হোল্ডিং ট্যাক্স দিত সেটাও এখন দিচ্ছে না। আমি জানি অনেকেই দিচ্ছে না। ৩০-৪০ শতাংশ দিচ্ছে না। তাই একটা জায়গায় এসে এগুলো আমাদের শেষ করতে হবে। শেষ করেই যেই জায়গায় হোল্ডিং ট্যাক্স আমরা দিতাম, আপনারা আগে যেটা দিতেন সেটাই একুরেট দেন।
‘মাঝখানে একটা গ্রুপ সেখানে গিয়ে কিছু টাকা নিয়ে কমিয়ে দেওয়ার কথা বলে এদিক-ওদিক করে চসিককে আপনারা অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়ার দিকে নিয়ে যাবেন না।’— যোগ করেন ডা. শাহাদাত।
রাজস্ব বিভাগের কর্মকর্তাদের সাবধান করে ডা. শাহাদাত বলেন, ‘হোল্ডিং ট্যাক্স আপনারা বিভিন্নভাবে চাচ্ছেন। আমি কিন্তু অনেক কিছু জানি, আমার ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান আছে, আমার নিজের হসপিটাল আছে, আমার নিজের বাড়ি আছে; সেখানে কি হয় তার সবকিছু আমি জানি। তাই আপনারা সাবধান হয়ে যান। আমি কিন্তু বলছি সাবধান হয়ে যেতে হবে সবাইকে।’
তাদের শুনিয়েছেন আশার বাণীও। তিনি বলেন. ‘আপনারা বেতন পাচ্ছেন সবাই। আপনারা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কাজ করবেন। যদি চসিককে সাবলম্বী করতে পারি আপনারা অনেকে হয়তো বছরে দুবার বোনাস পান না। আমরা ইনশাআল্লাহ সেটাও করবো; যদি প্রতিষ্ঠান (চসিক) সাবলম্বী হয়। ওই দিকে আপনারা চিন্তা করেন। আমার অনেক কিছু করার ইচ্ছে আছে।’
৪১ ওয়ার্ডে খেলার মাঠ
‘সুস্থ মন, সুস্থ দেহ’ একদম হারিয়ে গেছে উল্লেখ করে ৪১টি ওয়ার্ডে খেলার মাঠ করার দৃঢ় ইচ্ছা প্রকাশ করেন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, ‘আজকে টার্ফ হয়ে একটা শ্রেণি সেখানে তার বাচ্চাদের খেলতে দিতে পারছে না। এতে সমাজের মধ্যে একটা বৈষম্য তৈরি হচ্ছে। একটা নিম্নবিত্ত বা গরীব বাচ্চারা সেখানে খেলতে পারছে না। সাইকোলজিক্যালি তারা যে ডিমোটিভেট হচ্ছে এ কথাগুলো আমরা বুঝতে পারছি না। এ জিনিসগুলো কিন্তু আমাদের মানবিক হতে হবে। আমি অবশ্যই এসব বিষয়গুলোতে নজর দিব।’
‘ছোট একটা মোবাইলের মধ্যে আমাদের চোখ চলে যাচ্ছে। সারাক্ষণ আমরা সেদিকে চোখ দিয়ে রাখছি। এটার কারণে আমাদের চোখ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, কান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, নার্ভের সমস্যা হচ্ছে; এক কেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছে। সোসাইটির সঙ্গে তাদের কোনো যোগাযোগ নেই। সুস্থ দেহে সুন্দর মন সেটা নেই একদম হারিয়ে গেছে। তাই প্রত্যেকটা ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে একটা একটা খেলার মাঠ চসিক থেকে এ উদ্যোগটি অবশ্যই নিব।— বলেন সিটি মেয়র।
মেমন হাসপাতালকে ১ নম্বরে দেখতে চাই
একসময় দেখতাম মেমন হাসপাতালে রোগীর কোনো অভাব ছিল না। এটা চট্টগ্রামের ১ নম্বর হাসপাতাল ছিল। তাই আমি মেমন হাসপাতালকে আগের মতো ১ নম্বর জায়গায় দেখতে চাই। ৪১ ওয়ার্ডে ছোট ছোট যে ডিসপেনসারিগুলো আছে; এগুলো আরো এক্টিভ করতে হবে। প্রয়োজনে সেখানে একটা অপারেশন থিয়েটার করে দিয়ে ছোট ছোট যে সার্জারিগুলো হয় সেগুলো সেখানে করা হবে। দরকার হলে আমি শুধু তিন ঘণ্টা অফিসে থাকবো; বাকি সময় আমি বাইরে যাব। আমি কাজ করতে চাই এবং এই চসিককে একটা পরিবর্তনের জায়গায় নিয়ে আসতে চাই ইনশাআল্লাহ।
প্রিমিয়ার উদ্ধার, শিক্ষার মান বৃদ্ধি
শিক্ষাখাতের সবচেয়ে বড় যেটা প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি; এটি চসিকের টাকা দিয়ে কেনা। আজ এটা বেদখল হয়ে গেছে। আমরা যারা রাজনীতি করি; আমরা শুধু মুখে বড় বড় কথা বলি। যখন ক্ষমতা চলে যায় তখন ঘরে অনেক কিছুই পাওয়া যায়। মানুষের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আমরা নিজের নামে করে ফেলি। এটাই হচ্ছে আমাদের বড় রোগ। এ জায়গা থেকে আমাদের ফিরে আসতে হবে। আমার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান; এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে উদ্ধার করতে হবে। আপনাদের আমি কথা দিচ্ছি; এটা আমি করবো ইনশাআল্লাহ।
গত ১৬ বছরে শিক্ষার হার বৃদ্ধি পেয়েছে; কিন্তু শিক্ষার মান বৃদ্ধি পায়নি। তাই বলতে চাই, শিক্ষার মান বৃদ্ধি করতে হবে। নৈতিক শিক্ষায় সমস্ত শিক্ষার্থীদের শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে। আমি যতই ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হই না কেন যদি নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত না হই; তাহলে আমি একটা গরীব রোগীকে চিকিৎসা দিতে পারবো না। আমি প্রথমে হয়তো ভিজিট নিচ্ছি কিন্তু ভালোভাবে চিকিৎসা দিচ্ছি না। ওই নৈতিক শিক্ষার জায়গায় শিক্ষিত হতে হবে। ওটা যখন আমি হতে পারবো তখন একটা আলোকিত সমাজ উপহার দিতে পারবো। তাই এখানের শিক্ষা কর্মকর্তারা এটার ওপর জোর দিবেন। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে আপনারা সেটা করবেন।