কিডনি ডায়ালাইসিস সেন্টার করার ঘোষণা চসিক মেয়রের
সিভয়েস২৪ প্রতিবেদক
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) উদ্যোগে একটি অত্যাধুনিক ডায়ালাইসিস সেন্টার করতে চান বলে জানিয়েছেন নতুন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, চসিকের উদ্যোগে আমার একটা বড় পরিকল্পনা আছে। চট্টগ্রামে এখন কিডনি রোগী এত বেশি; তারা সবাই কষ্ট পাচ্ছেন। চট্টগ্রাম মেডিকেলে এত বেশি রোগী অনেকে সুযোগ পাচ্ছেন না। তাই চসিকের উদ্যোগে একটি অত্যাধুনিক ডায়ালাইসিস সেন্টার করতে চাই। যেখানে স্বল্প খরচে ডায়ালাইসিস করাতে পারবে।
বুধবার (৬ নভেম্বর) চসিকের মেমন মাতৃসদন হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। এসময় চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগের ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনারও ঘোষণা দেন মেয়র।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, বার্ন, ট্রমা, নিউরোসার্জারি হাসপাতালসহ বিশেষায়িত হাসপাতাল গড়ে তোলার ইচ্ছে আছে। গ্রিন সিটি, ক্লিন সিটি, হেলদি সিটি আমার মূল ইশতেহার ছিল। আমি এগুলো বাস্তবায়ন করবো।
এছাড়াও, মেমন মাতৃসদন হাসপাতালে ডেঙ্গু ম্যানেজমেন্ট সেল গড়ে তুলে বিশেষজ্ঞসহ প্রয়োজনীয় লোকবল দিয়ে স্বল্প মূল্যে ডেঙ্গু রোগীদের রক্ত পরীক্ষা ও চিকিৎসা দেয়ার ঘোষণা দেন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
তিনি বলেন, মশা নিয়ন্ত্রণে প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে রাস্তাঘাট পরিদর্শন করব আমি। আমি আজ ইতোমধ্যে আলকরণে বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিদর্শন করেছি৷ পরিচ্ছন্ন বা স্বাস্থ্য বিভাগের কেউ দায়িত্বে অবহেলা করলে আমাকে জানাবেন, আমি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিব। মশা মারতে এখন যেসব ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে সেগুলোও আমি যাচাই করব। সেগুলো আসলে কাজ করছে কী না! প্রয়োজনে মশা নিয়ন্ত্রণে নতুন ওষুধ ও নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করব।
মেয়র শাহাদাত বলেন, একসময় নারী ও নবজাতক শিশুদের সেবায় মেমন হাসপাতালের চট্টগ্রামে আলাদা সুনাম ছিল। এখানে এসে চিকিৎসক ও রোগীদের সাথে কথা বলে বুঝলাম হাসপাতালে যন্ত্রপাতির ঘাটতি আছে। এই যন্ত্রপাতি গুলো সংগ্রহ করে এবং প্রয়োজনীয় লোকবল দিয়ে মেমন হাসপাতালকে ঢেলে সাজানো হবে। বন্দরটিলা হাসপাতাল, মোস্তফা হাকিম হাসপাতালসহ কর্পোরেশনের বেশ কিছু ভালো বড় হাসপাতাল রয়েছে; এগুলো সংস্কার করে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের হারানো ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনা হবে।
নিজের চিকিৎসা জীবনের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানোর কথা জানিয়ে খ্যাতনামা এই চিকিৎসক বলেন, আমি ২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালের নেতৃত্বে ছিলাম। রুগ্ন এই হাসপাতালটিকে আমি দায়িত্ব ছাড়ার সময় একটি ছয় তলা হাসপাতাল ভবন সহ সাড়ে তিন কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট রেখে এসেছি। কখনো কোন ডক্টর কোন নার্স বা স্টাফ বলতে পারেনি যে তাদের বেতন বকেয়া ছিল। ইনশাল্লাহ আমার আগের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে জনগণের স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার অধিকার বাস্তবায়ন করব।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইমাম হোসেন রানা, প্রকৌশলী ইকবাল হোসেনসহ চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসা ও কর্মকর্তা- কর্মচারীবৃন্দ।