চারদফা পিটিয়ে যুবক হত্যা, গ্রেপ্তার ২
সিভয়েস২৪ প্রতিবেদক
চট্টগ্রাম নগরের খুলশী থানা এলাকায় চোর-ছিনতাইকারী সন্দেহে এক যুবককে চারদফা পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) নগরের দুই নম্বর গেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
হত্যার শিকার যুবকের নাম ইসলাম বিটু (২৫)। তিনি গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর থানার বনগ্রামের ছোট গয়েসপুর এলাকার মৃত ফুল মিয়ার ছেলে।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন—গাজী মো. আলমগীর প্রকাশ আলম (৩৫) এবং মো. জানে আলম (৩৩)। এদের মধ্যে আলমগীর পেশায় নৈশপ্রহরী এবং জানে আলম শ্রমিক।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ৮ আগস্ট ভোর সাড়ে ৬টার দিকে ভিকটিম ইসলাম বিটুকে চোর ও ছিনতাইকারী সন্দেহে ধাওয়া করা হয়। এরপর তাকে চার দফায় চার জায়গায় একাধিক ব্যক্তি মিলে গণপিটুনি দেয় এবং মৃত্যু নিশ্চিত করে ফেলে যায়।
পরে ওইদিন দুই নম্বর গেট কবরস্থানের পাশ থেকে ভিকটিমের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরবর্তীতে এ ঘটনায় নিহতের মা বিউটি বেগম বাদী হয়ে খুলশী থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (জনসংযোগ) কাজী মো. তারেক আজিজ সিভয়েস২৪’কে বলেন, ‘ভিকটিমের মায়ের মামলা দায়েরের পর তদন্তপ্রাপ্ত হয়ে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। ভিকটিমকে প্রথমে চোর সন্দেহে তাড়া করে দুই নম্বর গেট সংলগ্ন ড্রেনের সামনে গিয়ে আটকায় এক নৈশপ্রহরী। এরপর গ্রেপ্তার আলমগীর গিয়ে ওই নৈশপ্রহরীর হাতে লোহার রড তুলে দিয়ে পেটানোর নির্দেশ দেয়।’
তিনি বলেন, ‘এরপর দ্বিতীয় দফায় ভিকটিম বিটুকে দুই নম্বর গেট এলাকা সংলগ্ন নার্সারিতে, তৃতীয় দফায় মুরাদপুর এলাকার সড়ক বিভাজনের লোহার অ্যাঙ্গেলের সাথে বেঁধে মারধর করা হয়। ততক্ষণে আলমগীর এবং প্রথম প্রহারকারী নৈশপ্রহরীর সাথে আরও কয়েকজন যোগ দেয়। যাদের মধ্যে গ্রেপ্তার জানে আলমও ছিলেন।’
‘সর্বশেষ বিপ্লব উদ্যানে বেঁধে চতুর্থ দফায় একাধিকজন মিলে পিটিয়ে হত্যা করে বিটুকে। আমরা এ ঘটনায় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করলেও প্রথমে যিনি লোহার রড দিয়ে মারধর করেছে তিনি পলাতক আছেন। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।’ যোগ করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
গ্রেপ্তার আসামিরা আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারা মোতাবেক ঘটনার সাথে নিজেদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন বলেও জানান এডিসি তারেক আজিজ।