Cvoice24.com

মামুনুল হকের সঙ্গে থাকা সেই নারী আওয়ামী লীগ নেতার মেয়ে

সিভয়েস ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪:৩১, ৪ এপ্রিল ২০২১
মামুনুল হকের সঙ্গে থাকা সেই নারী আওয়ামী লীগ নেতার মেয়ে

রিসোর্টে মাওলানা মামুনুল হক ও সেই নারী

হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের সঙ্গে অবরুদ্ধ সেই নারীর পরিচয় মিলেছে। তাঁর নাম জান্নাত আরা ঝর্ণা (২৭)। যদিও অবরুদ্ধ মামুনুল হক সেসময় জানিয়েছিলেন ওই নারীর নাম ‘আমিনা তৈয়ব’। মামুনুল হক ওই নারীর নাম আমেনা তৈয়াবা বললেও ওই নারী নিজেকে জান্নাত আরা বলে পরিচয় দেন। 

জান্নাত ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের কামারগ্রাম ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. ওলিয়ার রহমান ওরফে ওলি মিয়ার মেঝো মেয়ে।

জান্নাতের ৯ বছর বয়সে হাফেজ শহীদুল ইসলাম ওরফে শহীদুল্লাহর সঙ্গে বিয়ে হয়। তার বাড়ি বাগেরহাটের কচুড়িয়া এলাকায়। বছর দুয়েক আগে তাদের ডিবোর্স হয়। ওই পরিবারে আব্দুর রহমান (১৭) ও তামীম (১২) নামে দুই পুত্রসন্তান রয়েছে তাদের। 

রবিবার (৪ এপ্রিল) সকালে ঝর্ণার গ্রামের বাড়িতে তার বাবা ওলিয়ার রহমান ও মা শিরীনা বেগমের সঙ্গে সাংবাদিকরা কথা বলে এসব তথ্য জানতে পারে। এসময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন জান্নাতের বাবা-মা।

তার বাবা-মা জানান, পারিবারিক কলহের জেরে আড়াই বছর আগে তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। তারপরে দু’বছর আগে পরিবার থেকে পাত্র দেখে মেয়েকে বিয়ের কথা বললে সে বলত তার বিয়ে হয়ে গেছে, তাই তার জন্য আর কোনো পাত্র না দেখতে। তবে কার সঙ্গে বিয়ে হয়েছে, পরিবারকে জানায়নি কখনো। শুধু একবার ভিডিও কলে তার দ্বিতীয় স্বামী মামুনুল হককে দেখিয়েছিল, কিন্তু তারা বুঝতে পারেনি তিনি মাওলানা মামুনুল হক ছিলেন।

প্রথম স্বামী হাফেজ শহীদুল ইসলাম ওরফে শহীদুল্লাহর সঙ্গে জান্নাত আরা ঝর্ণার পরিবারের কোনো যোগাযোগ আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, ‘ডিভোর্সের পরে তার সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ রাখেনি তারা। তাই হাফেজ শহীদুল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগের কোনো মাধ্যম পায়নি সাংবাদিকেরা।

পরিবার থেকে দ্বিতীয় বিয়ের কথা জানানো হলেও এলাকার কারো বিষয়টি জানা নেই।

গোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোনায়েম খান জানান, ঝর্ণার বাবা ওলিয়ার রহমান একজন সহজ সরল মানুষ। কামারগ্রাম চার নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। তার মেয়ের আগে বিয়ে হয়েছে। তার দুই ছেলেও আছে, পরে বিয়ে হয়েছে কিনা জানি না। এলাকার কেউ জানে বলেও মনে হয় না।

এদিকে মাওলানা মামুনুল হক অবশ্য এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে জানিয়েছেন, ওই নারী ছিলেন তার ঘনিষ্ঠ সহকর্মী হাফেজ শহিদুল ইসলামের স্ত্রী। পরবর্তীতে তাদের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেলে ওই নারীর দুঃসময়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন মামুনুল হক। এক সময় শরিয়তের বিধান অনুযায়ী কালেমা পড়ে ওই নারীকে বিয়ে করেন বলে দাবি।

প্রসঙ্গত শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে রিসোর্টে নারী নিয়ে স্থানীয়রা অবরুদ্ধ করে রাখে  হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে। যদিও পরে থানায় নেওয়ার পথে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয় হেফাজত কর্মীরা। এসময় ওই রিসোর্টে ব্যাপক ভাংচুর চালায় হেফাজত কর্মীরা।

সূত্র: সময় নিউজ

 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়