Cvoice24.com

তিন বিয়ের কথা স্বীকার মামুনুলের

সিভয়েস, ঢাকা

প্রকাশিত: ২১:৩৭, ১৮ এপ্রিল ২০২১
তিন বিয়ের কথা স্বীকার মামুনুলের

পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের পর তিন বিয়ের কথা স্বীকার করেছেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মামুনুল হক। তবে সামাজিকভাবে এসব বিয়ের কথা গোপন রেখেছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশকে।

গত ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জে রিসোর্টকাণ্ডের পর বেরিয়ে আসতে থাকে মামুনুলের ‘বিয়েকাণ্ড’। নারায়ণগঞ্জে ওই রিসোর্টে তিনি রুম ভাড়া করেছিলেন প্রথম স্ত্রী আমেনা তৈয়াবার নামে। ধরা পড়ার পর নামও বলেছিলেন প্রথম স্ত্রীর। ব্যবহার করেছিলেন প্রথম স্ত্রীর বাবার নাম ও ঠিকানা। 

যদিও ওই নারী জানিয়েছিলেন তারা নাম জান্নাত আরা ঝর্ণা। তার বাড়ি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের কামারগ্রামে। তিনি  মুক্তিযোদ্ধা মো. ওলিয়ার রহমান মিয়ার মেজো মেয়ে। ওলিয়ার রহমান কামারগ্রাম ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি।

পরে তার বাবা-মা সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, তাদের মেয়ে জান্নাত আরা ঝর্ণার ৯ বছর বয়সে বিয়ে হয়েছিল হাফেজ শহীদুল ইসলাম ওরফে শহীদুল্লাহ নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে। তার বাড়ি বাগেরহাটের কচুড়িয়া এলাকায়। তাদের আব্দুর রহমান (১৭) ও তামীম (১২) নামে দুজন ছেলেসন্তান রয়েছে। পরে মামুনুল হকের সঙ্গে বিয়ে হয়।

রিসোর্টকাণ্ড থেকে ছাড়া পেয়ে তিনি গ্রেপ্তার এড়াতে আশ্রয় নেন মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায়। সেখানের একটি রুম থেকে মাঝেমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইভে আসতেন। এরইমধ্যে এক বছর আগে গাজীপুরের কাপাসিয়ার বাসিন্দা এক নারীকে বিয়ে করেন বলে ওই নারীর ভাইকে জানান মামুনুল।  

তৃতীয় স্ত্রী হিসেবে দাবি করা ওই নারী এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে মাস্টার্স করেছেন। ২০১৩ সালে যখন তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন, তখন তাদের মধ্যে পরিচয় হয়। আড়াই বছর আগে ওই নারীর বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এরপর ওই নারীকে একটি মহিলা মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসেবে চাকরি দেন মামুনুল হক। এরপর থেকেই তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিচ্ছেদের পর ওই নারীকে কেরানীগঞ্জের একটি বাসায় রাখেন মামুনুল হক।

বিষয়টি নিয়ে ওই নারীর ভাই শাজাহান সাজু সংবাদ মাধ্যমের সাথে কথা বলেন। তিনি বলেন,  ‘শনিবার (১০ এপ্রিল) মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় ডেকে নিয়ে মামুনুল হক আমার বোনকে বিয়ে করার কথা জানান। এ সংক্রান্ত একটি স্ট্যাম্প দেখিয়েছেন তিনি। তবে এটি কাবিননামা নয়।’

রবিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে মোহাম্মদপুরের ওই মাদ্রাসা থেকে মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর তাকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনারের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই জিজ্ঞাসাবাদে তিন বিয়ের কথা স্বীকার করেন তিনি।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়