আইনি পরামর্শ নিতে আসা শাম্মীকে পছন্দ রেলমন্ত্রীর

দিন বিশেক আগে রেলমন্ত্রীর কাছে আইনি পরামর্শ নিতে যান শাম্মী আকতার মনি। সেখানেই ৪২ বছর বয়সী পেশায় আইনজীবী এ নারীকে পছন্দ করে বসেন মন্ত্রী। শনিবার (৫ জুন) ঘর বাঁধার স্বপ্নে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন ওই নারীকে। মন্ত্রীর সরকারি বাসভবন তন্ময়ে তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা হয়।

শাম্মী আকতার মনি দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার মেয়ে। তারা দুই ভাই এক বোন। 

বড় ভাই মো. জাহিদুল ইসলাম মিলন হোসেনই গণমাধ্যমে এসব কথা জানিয়েছেন।

অ্যাড. শাম্মী আকতারের ভাই জাহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, আমার বোন শাম্মী ঢাকার উত্তরায় থাকেন। সে আইন বিষয়ে পড়াশোনা শেষ করে  হাইকোর্টে এক সিনিয়রের সঙ্গে প্র্যাকটিস করছে। কয়েক দিন আগে আইন বিষয়ে পরমার্শ নিতে রেলমন্ত্রীর কাছে যান তিনি। সেখানেই আমার বোনকে রেলমন্ত্রীর পছন্দ হয় এবং পরিবারের কাছে বিয়ের বিষয়ে প্রস্তাব দেন। এরপর পারিবারিকভাবে গত ৫ জুন তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।

তিনি আরো বলেন, বিয়েতে বরপক্ষে উপস্থিত ছিলেন বিরামপুরের বিচারপতি ইজারুল হক ও তার স্ত্রী। কনেপক্ষে আমি ও আমার ভাই উপস্থিত ছিলাম।

এই বিয়ের মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ছিলেন বিরামপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র লিয়াকত আলী টুটুল। তিনি বলেন, আলোচনা ঢাকা থেকে শুরু হলেও আমি ঘটকের দায়িত্বে ছিলাম। কত টাকায় কাবিন হয়েছে জানতে চাইলে তিনি পরে জানাবেন বলে এড়িয়ে যান।

নূরুল ইসলাম সুজনের স্ত্রী নিলুফার জাহান ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে মারা যান। তাদের এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। তিন সন্তানেরই বিয়ে হয়েছে। ৬৫ বছর বয়সী নূরুল ইসলাম ১৯৫৬ সালের ৫ জানুয়ারি পঞ্চগড়ে জন্মগ্রহণ করেন। পঞ্চগড়-২ (বোদা-দেবীগঞ্জ) আসন থেকে নবম, দশম এবং একাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। ২০১৮ সালে নির্বাচিত হওয়ার পর রেলমন্ত্রী হন তিনি।