Cvoice24.com

মা ও মামার জিম্মায় আবু ত্ব-হাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর

সিভয়েস ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:২৪, ১৯ জুন ২০২১
মা ও মামার জিম্মায় আবু ত্ব-হাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর

আদালতে আবু ত্ব-হা মোহাম্মদ আদনান ও তার দুই সঙ্গী

আলোচিত ইসলামি বক্তা আবু ত্ব-হা মোহাম্মদ আদনান ও তার দুই সঙ্গীকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মেট্রোপলিটন জুডিশিয়াল আদালতের বিচারক কেএম হাফিজুর রহমানের নির্দেশে শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাদের নিজ নিজ পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়।

এর আগে রাত সোয়া ৯টার দিকে রংপুর মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কার্যালয় থেকে আবু ত্ব-হাদের আদালতে নেওয়া হয়। সেখানে স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দেন আবু ত্ব-হা মোহাম্মদ আদনান, তার সঙ্গী আব্দুল মুকিত ও গাড়িচালক আমির উদ্দিন ফয়েজ।

আবু ত্ব-হা আদনান সপরিবার রংপুর শহরে থাকেন। ১০ জুন রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন ত্ব-হাসহ ওই চারজন। এ ঘটনায় ১১ জুন ত্ব-হার মা রংপুর কোতোয়ালি থানায় জিডি করেন। তবে গতকাল শুক্রবার তারা ফিরে আসেন। 

এরপর বিকেলে আবু ত্ব-হাকে তার শ্বশুরবাড়ি থেকে এবং বাকি দুজনকে নিজ নিজ বাড়ি থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ নিয়ে যায়। পুলিশের দাবি, আবু ত্ব-হা আদনানসহ চারজন গাইবান্ধার ত্রিমোহনী এলাকায় বন্ধু সিয়ামের বাসায় ব্যক্তিগত কারণে আত্মগোপনে ছিলেন। তবে আদনানসহ তিনজনের পরিবারের কেউই এ বিষয়ে গণমাধ্যমের কাছে বিস্তারিত কিছু বলতে চাইছেন না।

এদিকে আদনানকে নিরাপদে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করায় প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও দেশবাসীর কাছে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তার মামা আমিনুল ইসলাম। গতকাল রাত পৌনে ১২টার দিকে রংপুর আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের সামনে অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি এ কৃতজ্ঞতা জানান।

আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ আমরা তাকে (ত্ব-হা) ফিরে পেয়েছি। এজন্য মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে শোকরিয়া জানাই। আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ত্ব-হার নিখোঁজের ঘটনায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তার খোঁজ নেওয়ার কথা তিনি জানিয়েছিলেন। এ সময়ের মধ্যেই তাকে আমরা পেয়েছি।’  

তিনি বলেন, ‘আমি দেশবাসীর কাছে চিরকৃতজ্ঞ যে সবাই এতো ভালোবাসা দেখিয়েছেন। তার (ত্ব-হা) বিষয়ে সবাই দোয়া করেছেন। খোঁজ-খবর নিয়ে এবং আমাদের পাশে থেকেছেন। আপনাদের সবার মঙ্গল হোক।’

তিনি আরও বলেন, ‘আদালত থেকে পরিবারের অভিভাবক হিসেবে আমাদের ডেকে পাঠানো হয়েছিল। আমি ও আবু ত্ব-হার মা অভিভাবক হিসেবে এসেছি। আমাদের জিম্মায় তাকে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।’

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়