পিস্তল দিয়ে ভয় দেখায়, রাম দা দিয়ে কোপায়!

চুয়াডাঙ্গার কুখ্যাত ডাকাত সর্দার মোহাম্মদ আলীকে প্রধান সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় তার কাছ থেকে একটি রামদা, একটি খেলনা পিস্তল এবং লুণ্ঠিত একটি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়।

বুধবার (২৪ নভেম্বর) ভোরে চুয়াডাঙ্গা জেলার ঈদগাহ ময়দানের পাশ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার ডাকাত সর্দার মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে ১২টি এবং তার দলের বিরুদ্ধে ২০ এর অধিক মামলা রয়েছে। তারা পিস্তল দিয়ে ভয় দেখায়, আর কেউ বাধা দিলে কুপিয়ে আহত করে। আলী ও তার দলের হামলায় আহত হয়েছে ১০ এর অধিক মানুষ।

যখন তখন যাকে তাকে কোপায় মোহাম্মদ আলী!

মোহাম্মদ আলী নৃশংস প্রকৃতির লোক। তার কাজে কেউ বাধা দিলে তাকে কুপিয়ে আহত করে সে। তার কোপ থেকে রক্ষা পায়নি তার শাশুড়িও! পারিবারিক কলহের জেরে শাশুড়ির গলায় কোপ দেয় মোহাম্মদ আলী।

এক জেলায় ডাকাতি করে, অন্য জেলায় ঘুমায়!

মোহাম্মদ আলীর দলের ডাকাতি ঝিনাইদহ ও চুয়াডাঙ্গায়। গ্রেপ্তার এড়াতে তারা রাতে এক জেলায় ডাকাতি করে  অন্য জেলায় গিয়ে ঘুমায়! সর্বশেষ চুয়াডাঙ্গায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর ল্যাপটপ ছিনতাই করেও ঝিনাইদহ পালিয়ে যায়। এর আগে ঝিনাইদহে ডাকাতি করে এসে চুয়াডাঙ্গায় আশ্রয় নেয়।

চুয়াডাঙ্গা থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ‘মোহাম্মদ আলী ডাকাত সর্দার। তার দলে তারা মোট ৩ জন। চুয়াডাঙ্গায় সংঘটিত প্রায় সব ডাকাতিতেই এই ডাকাত দলের হাত রয়েছে। তারা খেলনার পিস্তল দিয়ে ভয় দেখিয়ে জিম্মি করে, কেউ বাধা দিলে কুপিয়ে আহত করে। সর্বশেষ গত ২২ নভেম্বর এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর কাছ থেকে অস্ত্রের মুখে ল্যাপটপ ছিনিয়ে নেয় মোহাম্মদ আলী ও তার দল। সেই ঘটনায় তার সহযোগী রতনসহ (২২) মোহাম্মদ আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়।’