Cvoice24.com

মধ্যপ্রাচ্য থেকে প্রবাসীদের অন্য জায়গায় নিয়োগের চেষ্টা চলছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সিভয়েস ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪:৪২, ১ ডিসেম্বর ২০২১
মধ্যপ্রাচ্য থেকে প্রবাসীদের অন্য জায়গায় নিয়োগের চেষ্টা চলছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

নতুন নতুন বৈদেশিক কর্মসংস্থান সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। এসময় তিনি বলেন, আমরা চাই বাংলাদেশের মানুষের জন্য দেশ-বিদেশে সফল কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। রোমানিয়ায় যেখানে আগে কোনো দিন বাঙালি যায় নাই। সেখানে ১০ হাজার বাঙালি নেওয়ার ব্যবস্থা পাকাপোক্ত করা হয়েছে। এখন আমরা নতুন নতুন দেশে নিতে চেষ্টা করছি।

বুধবার (১ ডিসেম্বর) জহুর হোসেন চৌধুরি হলে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘বিজয়ে ৫০ বছরে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সফলতা শীর্ষক’ এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

মধ্যপ্রাচ্যে আগামীর ভবিষ্যৎ সুবিধার নয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমাদের যে এক কোটি ২২ লাখ প্রবাসী আছেন তাদের অধিকাংশ মধ্যপ্রাচ্যের। মধ্যপ্রাচ্যে আগামীর ভবিষ্যৎ খুব সুবিধার নয়। সে জন্য আমরা অন্যান্য জায়গায় তাদের নিয়োগের চেষ্টা করছি।

এ কে আব্দুল মোমেন আরও বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী যে ধরনের রোডম্যাপ দিয়েছেন তা বাস্তবায়নে কি কি করা দরকার সে ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছি। তার একটি বড় পদক্ষেপ হচ্ছে দেশের জনগণের চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করা।

অর্থনীতির সমৃদ্ধিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দুটি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, আমরা দুটি প্যাকেজ চালু করেছি। একটির নাম দিয়েছি, ইকোনমিক ডিপ্লোমেসি। আমাদের দ্বিতীয় উদ্যোগ হচ্ছে, রপ্তানি বাড়াতে চাই। এই ব্যাপারে কাজ করছি, এবং বেড়েছেও। ২০০৯ সালে ১২ বিলিয়ন রপ্তানি ছিল, এখন আমাদের প্রায় ৪০ বিলিয়ন রপ্তানি। আমরা মোটামুটি বাড়িয়েছি। আরও বাড়াতে চাই।

বাংলাদেশকে অপার সম্ভাবনার দেশ উল্লেখ করে এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, অর্থনীতির ওপর আমরা জোর দিয়েছি। বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন হওয়ার পর অর্থনীতির ওপর খুব জোর দিয়েছিলেন। আমরা সেই একইভাবে জোর দিয়েছি।

বৈদেশিক বিনিয়োগ বাড়াতে সরকার কাজ করছে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, বাংলাদেশে যদি কেউ ইনভেস্ট করে তাহলে তার রিটার্ন ইন ইনভেস্টমেন্ট হায়েস্ট ইন দিস রিজন। এই রিজনের মধ্যে আমাদের রিটার্ন ইন ইনভেস্টমেন্ট বেশি। আমি বললে অনেকে বিশ্বাস করবে না। এজন্য চাই ওই দেশের লোক, যারা ওইখানে থাকে তাদের নিয়ে, বিভিন্ন ওয়ার্কশপ এবং সেমিনার করে বিদেশিদের মুখ দিয়ে বলাতে চাই- ‘বাংলাদেশ ল্যান্ড অব অপরচুনিটি’। তখন তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার জন্য আরও আগ্রহী হবে।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়