Cvoice24.com

চট্টগ্রামেও হাফ ভাড়ার সিদ্ধান্ত নেবেন পরিবহন নেতারা—আশা তথ্যমন্ত্রীর

সিভয়েস ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:৫৫, ১ ডিসেম্বর ২০২১
চট্টগ্রামেও হাফ ভাড়ার সিদ্ধান্ত নেবেন পরিবহন নেতারা—আশা তথ্যমন্ত্রীর

ফাইল ছবি

বিআরটিসি বাসে যেভাবে সারাদেশে হাফ ভাড়া কার্যকর হয়েছে সেভাবে চট্টগ্রামসহ দেশের অন্যান্য শহরেও পরিবহন মালিকেরা একই ধরনের সিদ্ধান্ত নেবেন বলে আশা করছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

বুধবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এমন কথা বলেন।

তিনি বলেছেন, নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই দাবির প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে আজকে থেকে বিআরটিসি বাসে হাফ ভাড়া কার্যকরের নির্দেশনা দিয়েছেন। ইতোমধ্যে ঢাকা বাস মালিক সমিতি আজ থেকে ঢাকায় হাফ ভাড়া কার্যকর করেছে। বিআরটিসি বাসে ছাত্রদের হাফ ভাড়া যেভাবে সারাদেশে কার্যকর করা হয়েছে, আমি আশা করব চট্টগ্রামসহ অন্যান্য শহরেও বেসরকারি বাস মালিকরা একই ধরনের সিদ্ধান্ত নেবেন।

রামপুরায় বাসচাপায় শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনা এবং সে ঘটনাকে কেন্দ্র করে অগ্নিসংযোগ করা পরিকল্পিত কি না—এমন প্রশ্ন তুলে
তিনি বলেন, পরশুদিন রাতে একটি দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে। রামপুরায় অনাবিল পরিবহনের বাসের চাপায় একজন ছাত্র নিহত হয়েছে। তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। এ ঘটনা একটু বিশ্লেষণ করলে আমরা দেখতে পাই, এই ঘটনা থেকে কিছু প্রশ্ন উঠে এসেছে। প্রত্যক্ষদর্শীর তথ্যানুযায়ী ঘটনাটি ঘটে রাত পৌনে ১১টায়। এর ১২ মিনিট পর ১০টা ৫৭ মিনিটে ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ তাদের যে ফেসবুক পেইজ থেকে লাইভ করা হয়। রাত ১১টায় জামায়াত পরিচালিত টেলিগ্রাম চ্যানেলে খবরটি প্রকাশিত হয়। আর সেখান থেকে সমস্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবরটি ছড়িয়ে পড়ে।

ড. হাছান বলেন, এখন প্রশ্ন হচ্ছে ১২ মিনিটেই নিরাপদ সড়ক চাই পেইজের অ্যাডমিন সেখানে কিভাবে পৌঁছালো, সেখান থেকে লাইভ কিভাবে করলো? বাঁশের কেল্লা কিভাবে ১৫ মিনিটের মধ্যে এই খবর পেল এবং সেখন থেকে প্রচার করল? ঘটনার ১৫ মিনিটের মধ্যেই ১০/১২টি গাড়িতে আগুন দেওয়া হলো। গাড়িগুলোতে আগুন ছাত্ররা দেয়নি। কারণ ঘটনার ১৫ মিনিটের মধ্যে অত ছাত্র সেখানে পৌঁছায়নি। প্রশ্ন হচ্ছে, যারা ফেসবুক পেইজে লাইভ দিয়েছে তারা কি ঘটনা সম্পর্কে আগে থেকেই অবহিত ছিল ? ১২ মিনিটের মধ্যে যারা লাইভে গেছে এবং ১৫ মিনিটের মধ্যে লোকজন যোগাড় বাসে যে আগুন দেওয়া হলো আগে থেকে নিশ্চয়ই প্রস্তুত ছিল। এত অল্প সময়ের মধ্যে সেনাবাহিনী সেখানে পৌঁছাতে পারে না অথচ তারা পৌঁছে গেল, এই প্রশ্নগুলো উঠে এসেছে।

হাছান মাহমুদ বলেন, ছাত্রদের আন্দোলনে ভর করে একটি মহল দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে, গত পরশু রাতের ঘটনা থেকে সেটি স্পষ্ট। ছাত্রদের গায়ে কালেমা লেপন করার চেষ্টা চালাচ্ছে। ছাত্ররা অনেক দিন ধরে আন্দোলন করছে, তারা কিন্তু কোনো জায়গায় গাড়িতে আগুন দেয়নি,এমনকি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেনি। ছোটখাট ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। অথচ সেদিন ঘটনার ১৫ মিনিটের মধ্যে ১২ থেকে ১৫টি বাসে আগুন দেওয়া হলো, এগুলো দুষ্কৃতিকারীরা করেছে, যারা দেশে কোনোকিছুর ওপর ভর করে অতীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার অপচেষ্টা নিয়েছে আজকেও এই ছাত্রদের ওপর ভর করে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার অপচেষ্টার উদ্দেশে এই ঘটনাগুলো ঘটিয়েছে। এদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।

তিনি বলেন, সরকার ছাত্রদের আন্দোলনের প্রতি সহানুভুতিশীল। রামপুরার ঘটনা নিয়ে তদন্ত হচ্ছে এবং হবে। যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের খুঁজে বের করে নিশ্চয়ই শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ইতোমধ্যে মামলাও হয়েছে।

যারা লাইভ করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ঘটনার সময় এতো রাতে সেখানে ছাত্ররা ছিল না। তাহলে এরা কারা, সে প্রশ্ন তো অবশ্যই আসে। তারা কি আগে থেকেই তারা সেখানে ছিল? তদন্ত হচ্ছে,তদন্তে সবকিছু বেরিয়ে আসবে।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়