Cvoice24.com

কর্ণফুলী টানেলে চট্টগ্রাম হবে ‘ওয়ান সিটি টুইন টাউন’: প্রধানমন্ত্রী

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৪:০৬, ২৬ নভেম্বর ২০২২
কর্ণফুলী টানেলে চট্টগ্রাম হবে ‘ওয়ান সিটি টুইন টাউন’: প্রধানমন্ত্রী

সমাপ্ত হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল এর ১ম টানেল টিউবের কাজ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভৌগলিক দিক থেকে চট্টগ্রাম অনেক গুরুত্বপূর্ণ। একে আমি বাণিজ্যিক রাজধানী বলে ডাকতাম। তাই চট্টগ্রামের উন্নয়নে আমি সব সময় প্রাধান্য দিই। আজ কর্ণফুলী টানেলের ১ম টিউব চালু হচ্ছে। এটা আমাদের জন্য আরেকটা বড় অর্জন। এই টানেলের মাধ্যমে চট্টগ্রাম হবে 'ওয়ান সিটি টুইন টাউন।'

শনিবার (২৬ নভেম্বর) সকাল ১০টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল এর ১ম টানেল টিউবের পূর্তকাজ সমাপ্তির উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি সব কথা বলেন। 

শেখ হাসিনা বলেন, মহিউদ্দীন চৌধুরী বেঁচে থাকতে সব সময় টানেলের দাবি করেছেন। আন্দোলনও করেছেন। চট্টগ্রামসহ দেশের উন্নয়ন করার চিন্তা আওয়ামী লীগের আছে। সে চিন্তা থেকে আমরা টানেল করার উদ্যোগ নিই। আমরা রাতের খাবার খেতে খেতে টানেলের বিষয়ে কথা বলি। আপনারা সবাই রাত জেগে কাজ করেছেন। আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে আমরা টানেলের সমীক্ষা করি। পাশাপাশি নকশা, পরিকল্পনাসহ যাবতীয় আনুষঙ্গিক কাজগুলোও একসাথে চলতে থাকে। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা এখন পুরো টানেলের উদ্বোধন করছি না। শুধু একটা টিউবের উদ্বোধন করছি। এটার প্রতি আমার আগ্রহ বেশি ছিল। কারণ টানেল আমি বিদেশে দেখেছি। এখন আমার দেশে হয়েছে। এই টানেলটা আমি দেখতে চেয়েছি। এটা আমার কাছে বিস্ময়। দ্বিতীয় টিউবের কাজ শেষ করতে বেশি সময় লাগবে না। 

সরকার প্রধান বলেন, দীর্ঘদিন থেকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উন্নত যোগাযোগ হয়নি। আমরা যখন বেড়াতে যেতাম বেশিরভাগই কক্সবাজার গিয়েছি। এই কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দর হচ্ছে। চট্টগ্রামের সাথে উপজেলাগুলোর যোগাযোগ ব্যবস্থা যাতে আরো উন্নত হয় সেটা নিয়ে কাজ করছি। এই টানেলের মাধ্যমে চট্টগ্রামের গুরুত্ব আরো বেড়ে যাবে। 

শেখ হাসিনা আরো বলেন, কিছুদিন আগে আমরা শত সেতু উদ্বোধন করেছি। এরমধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামে ৪৫টি যার ৪২টি খাগড়াছড়িতে। চট্টগ্রামের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন হোক সেটা আমরা চাই। চট্টগ্রাম বন্দর আমরা সম্প্রসারণ করে দিচ্ছি। সব জায়গায় বিদ্যুৎ দিয়েছি। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর কারণে আমরা প্রযুক্তিতে এগিয়েছি। স্বাধীন বাংলাদেশ যেভাবে বঙ্গবন্ধু চেয়েছেন আমরা সেভাবে কাজ করছি। 

মিরসরাই ইকোনমিক জোন সারাবিশ্ব আলোড়ন সৃষ্টি করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের শিল্পায়ন যাতে বাড়ে আমরা সে লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি। মিরসরাই ইকোনমিক জোন নিয়ে সব জায়গায় আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু আমাদের ইকোনমিক জোনের বাইরে এবং দেশের অন্যান্য কৃষি জমিগুলো কাজে লাগাতে হবে। নিজেদের জমি ফেলে না রেখে চাষাবাদ করতে হবে। নিজেদের খাবার নিজেদের ব্যবস্থা করতে হবে। জ্বালানি, বিদ্যুৎ সবকিছু ব্যবহারে আমাদের সাশ্রয়ী হতে হবে। আপনারা সাশ্রয়ী, মিতব্যয়ী হলে দেশ এগিয়ে যাবে।

মেরিন ড্রাইভ করার পরিকল্পনার কথা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ করার পরিকল্পনা আমার আছে। ঢাকার সাথে চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের সীমান্তে যোগাযোগ সহজ করার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ২০৪১ সালে বাংলাদেশ হবে উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ। সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা একটা স্বপ্ন নিয়ে এদেশ স্বাধীন করেছেন। তাঁর স্বপ্ন ছিল ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ। যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশে খাদ্য গুদাম, রেললাইন সব ধ্বংস করে দিয়েছিল। মাত্র সাড়ে তিন বছরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশে রূপান্তর করেছিলেন। স্বাধীনতার ১০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত দেশে রূপান্তর হতে পারতো যদি বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকতেন। আমরা হাত পেতে চলব কেন? আমরা মাথা উঁচু করে বাঁচবো। বঙ্গবন্ধু আমাদের সে শিক্ষা দিয়ে গেছেন। আমরা ক্ষমতায় এসে দেশের উন্নয়নে জোর দিয়েছি। ২০০৯ সালে সরকার গঠন করে আমরা উন্নয়ন কাজগুলো করতে সক্ষম হয়েছি। আমরা এ দেশকে আরো এগিয়ে নিতে চাই।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়