Cvoice24.com

‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বিব্রতকর করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তিনি’
অর্থসচিবের পদত্যাগ চাইলেন অডিটররা

সিভয়েস২৪ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭:০৭, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
অর্থসচিবের পদত্যাগ চাইলেন অডিটররা

কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি) কার্যালয়ের আওতাধীন অডিটরদের বেতন-গ্রেড ১১ থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করাসহ অর্থসচিবের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন অডিটররা। অর্থসচিবের পদত্যাগ প্রসঙ্গে তারা বলেন, ফ্যাসিবাদের দোসর বর্তমান অর্থসচিব দেশের অডিট অ্যান্ড এক্যাউন্টস বিভাগকে অকার্যকর করার মাধ্যমে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতে ফেলার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।

বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। এতে অডিটরদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আহমেদুর রহমান ডালিম। 

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, একই পদে দুই ধরনের বেতন থাকাটা কখনো প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত হতে পারে না। এমন বিষয় কর্তৃপক্ষকেই নৈতিকভাবে এবং দায়িত্বশীল হয়ে সমাধান করা প্রয়োজন। ২০১৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে দায়ের করা রিট পিটিশনের রায় সিএজি ও অধীনস্ত অফিসের পদকে ১১তম গ্রেড থেকে দশম গ্রেডে উন্নত করার পক্ষে রায় দেয়। পরে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ শুধু ৬১ জন মামলার পক্ষভুক্ত রিট পিটিশনারকে ১১তম থেকে দশম গ্রেডে উন্নীত করার আদেশ প্রদান করে।

আহমেদুর রহমান ডালিম বলেন, ‘পরে অন্যান্য অডিটররা ধারাবাহিক কনটেম্পট পিটিশন দায়ের করতে থাকে এবং আদালত সব মামলাতে অডিটর পদকে দশম গ্রেডে উন্নীত করার পক্ষে রায় দেয়। কিন্তু অর্থ বিভাগের একটি দুষ্টু চক্রের কারণে আর কেউ দশম গ্রেডে উন্নীত হতে পারেননি।’

তিনি বলেন, ‘গত ১২ আগস্ট এডিশনাল ডেপুটি কম্পট্রেলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (পার্সনেল) অর্থ বিভাগের সচিবের কাছে বিষয়টি সুরাহা করার জন্য তাগিদ দিয়ে একটি চিঠি দেন। পরের দিন ১৩ আগস্ট অর্থ বিভাগের প্রশাসন ও সমন্বয়ে অনুবিভাগের প্রশাসন-২ অধিশাখা আইন ও বিচার বিভাগের সচিবের কাছে দশম গ্রেডে উন্নীত করা যাবে কিনা, সে বিষয়ে মতামত দিতে এক চিঠিতে অনুরোধ জানান।’ 

‘এরপর গত ২০ আগস্ট আইন ও বিচার বিভাগের বিচার শাখা-৫ থেকে অর্থসচিবের কাছে মতামতসহ একটি চিঠি পাঠিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেন। ওই মতামতে সিএজি কার্যালয় ও এর অধীনস্ত দপ্তরগুলোর অন্যান্য অডিটর পদের বেতন গ্রেড ১১ থেকে ১০ম গ্ৰেডে উন্নীত করা যেতে পারে বলে মতামত প্রদান করে। পরে ২৫ আগস্ট অর্থ বিভাগের প্রসাশন ও সমন্বয় অনুবিভাগ থেকে ব্যয় ব্যবস্থাপনা অনুবিভাগের কাছে দেওয়া একটি চিঠিতে বলা হয়, কনটেম্প পিটিশনে অন্তর্ভুক্ত অডিটরসহ অডিটর পদকে গ্রেডে-১১ থেকে ১০-এ উন্নীতকরণের প্রস্তাবটির বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে পাঠানো হলো।- -যোগ করেন আহমেদুর রহমান ডালিম।

জানা গেছে, সর্বশেষ ৮ সেপ্টেম্বর কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের কার্যালয় থেকে অর্থ বিভাগের সচিবের কাছে সিএজি কার্যালয় ও এর অধীনস্ত দপ্তরগুলোর অডিটর পদের বেতন গ্রেড ১১ থেকে ১০-এ উন্নীত করার জন্য বাস্তবায়ন আদেশ জারি করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুনরায় বিশেষভাবে অনুরোধ করে। কিন্তু এতো দিন হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো নির্দেশনা জারি হয়নি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ছিলেন সিজিএ কার্যালয়ের অডিটর মো. মনিরুজ্জামান, মোহাম্মদ মোরশেদ আলম, মো. আব্দুল আজিজ, আল আমিন,  মনজুরুল ইসলাম প্রমুখ।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়

: