Cvoice24.com

লন্ডন ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান 'ওয়েলথ এক্স' তথ্যমতে
বাংলাদেশে দ্রুত হারে বাড়ছে 'অতি ধনী' 

প্রকাশিত: ১১:০৩, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮
বাংলাদেশে দ্রুত হারে বাড়ছে 'অতি ধনী' 

বিশ্বে 'অতি ধনী' মানুষের সংখ্যা বাংলাদেশে সবচেয়ে দ্রুতগতিতে বাড়ছে । বাংলাদেশের অর্থনীতি বাড়ছে দ্রুত, কিন্তু তার চেয়েও দ্রুত বাড়ছে ধনী মানুষের সংখ্যা।

যাদের সম্পদের পরিমাণ তিন কোটি ডলার বা তার চেয়ে বেশি তাদেরকেই অতি ধনী বা 'আলট্রা হাই নেট ওর্থ' (ইউএইচএনডাব্লিউ) বলে বিবেচনা করা হয় । বাংলাদেশি টাকায় যাদের সম্পদ আড়াইশো কোটি টাকার বেশি, তারাই 'অতি ধনী' বলে গণ্য হবেন।

সম্প্রতি লন্ডন ভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান 'ওয়েলথ এক্স' এই অতি ধনীদের ওপর সর্বশেষ রিপোর্টটি প্রকাশ করে। তবে ওই রিপোর্টে  'অতি ধনী' মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধির দৌড়ে বাংলাদেশ শীর্ষে রয়েছে। 

এতে দেখা যাচ্ছে বিশ্বে অতি ধনী মানুষের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি যুক্তরাষ্ট্রে। সেদেশে 'অতি ধনী' মানুষের সংখ্যা প্রায় ৮০ হাজার। দ্বিতীয় স্থানে আছে জাপান। তাদের অতি ধনী সংখ্যার মানুষের সংখ্যা প্রায় ১৮ হাজার। আর প্রায় ১৭ হাজার অতি ধনী মানুষ নিয়ে চীন আছে তৃতীয় স্থানে। তালিকায় প্রথম দশটি দেশের তালিকায় আরও আছে জার্মানি, কানাডা, ফ্রান্স, হংকং, যুক্তরাজ্য, সুইজারল্যান্ড এবং ইটালি।

ওয়েলথ এক্স এর তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ১৭ দশমিক তিন শতাংশ হারে এদের সংখ্যা বাড়ছে। দ্বিতীয় স্থানে আছে চীন। সেখানে অতি ধনীর সংখ্যা বাড়ছে ১৩ দশমিক ৭ শতাংশ হারে। এরপর আছে যথাক্রমে ভিয়েতনাম, কেনিয়া, ভারত হংকং এবং আয়ারল্যান্ড। 

ওয়েলথ এক্স বলছে, যদি বিশ্ব পরিসরে দেখা হয়, অবাক করা ব্যাপার হচ্ছে, নতুন ধনী তৈরির ক্ষেত্রে চীন এখন আর শীর্ষে নয়। সেখানে বাংলাদেশ সবার চেয়ে এগিয়ে।

২০১২ সাল হতে এ পর্যন্ত বাংলাদেশে প্রতি বছর ১৭ শতাংশ হারে অতি ধনীর সংখ্যা বেড়েছে। ভিয়েতনাম, কেনিয়া এবং ভারতও খুব বেশি পিছিয়ে নেই। 

বাংলাদেশে সবচেয়ে দ্রুত হারে অতি ধনীবাড়ছে, এই বিষয়ে ঢাকার সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের নির্বাহী পরিচালক ড: ফাহমিদা খাতুন বলেন, এই তথ্য থেকে আমি মোটেও অবাক হইনি। কারণ গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশে যে একটা গোষ্ঠীর হাতে এ ধরণের সম্পদ সৃষ্টি হচ্ছে সেটা আসলে দেখাই যাচ্ছে। এই সম্পদ সৃষ্টির প্রক্রিয়া তো একদিনে তৈরি হয়নি। এটা কয়েক দশক ধরেই হয়েছে। এখন এটি আরও দ্রুততর হচ্ছে। আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে যেহেতু সুশাসনের অভাব থাকে বা প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা থাকে, তখন এই সুযোগটা একটা বিশেষ গোষ্ঠীর হাতে রয়ে যায়। প্রভাবশালীদের যোগাযোগের ক্ষেত্রে খুব ক্ষুদ্র একটা গোষ্ঠী বিশালাকার সম্পদের মালিক হয়। 

সিভয়েস/এস.আর 

সিভয়েস ডেস্ক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়