Cvoice24.com


২০২২ সালে টাইটানিক-২ !

প্রকাশিত: ১২:৫৮, ৭ নভেম্বর ২০১৮
২০২২ সালে টাইটানিক-২ !

টাইটানিকের মতো অবিকল আরেকটি জাহাজ দেখার সাধ কার না হয়! চমকপ্রদ খবর হলো, তেমন একটি বিশাল নৌযান তৈরিতে এখন কাজ চলছে। ১৯৯৭ সালে টাইটানিক ছবিতে সেলিন ডিওনের গানের কথার মতো বললে, ভ্রমণের এই প্রকল্প ‘গো অন অ্যান্ড অন’! অর্থাৎ এগিয়ে যাচ্ছে নির্মাণ কাজ।

ক্রুজ অ্যারাবিয়া এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০২২ সালে সাগরে ভাসবে নতুন টাইটানিক। প্রথম যাত্রায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই থেকে যাত্রী নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক যাবে এটি।

ব্লু  স্টার লাইন জানিয়েছে, ২ হাজার ৪৩৫ জন যাত্রী ধারণক্ষমতা সম্পন্ন ৯ ডেকের এই জাহাজে থাকছে ৮৩৫টি কেবিন। মূল টাইটানিকের মতোই প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির টিকিট পাওয়া যাবে এতে। সাজসজ্জাও হচ্ছে একইরকম। জেমস ক্যামেরনের ‘টাইটানিক’ ছবিতে দেখা বিশাল সিঁড়িও থাকবে নতুন জাহাজে।

১৯১২ সালে বরফখণ্ডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডুবে যায় টাইটানিক। এ ঘটনায় দেড় হাজারেরও বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটে। ওই বিয়োগান্তক ইতিহাস নিয়ে ১৯৯৭ সালে ‘টাইটানিক’ ছবিটি তৈরি হয়। এতে অভিনয় করেন লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও ও কেট উইন্সলেট।

পুরনো বিপর্যয়ের পুনরাবৃত্তি যেন না হয় সেজন্য টাইটানিক-টু’র সঙ্গে প্রচুর লাইফবোট যুক্ত থাকবে। জাহাজের কাঠামোতে দেখা যাবে পরিবর্তন। সেই সঙ্গে আধুনিক রাডার সরঞ্জাম রাখা হবে।

টাইটানিক-টু তৈরিতে অর্থলগ্নি করছেন অস্ট্রেলীয় ধনকুবের ও রাজনীতিবিদ ক্লাইভ পালমার। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর তিনি নিশ্চিত করেছেন, এই জাহাজ তৈরির কাজ পুনরায় শুরু হয়েছে। তার কথায়, আগের টাইটানিকের মতোই নতুন জাহাজ ইংল্যান্ডের সাউদাম্পটন থেকে নিউইয়র্কের উদ্দেশে যাত্রী নিয়ে যাবে। এই নৌযান পৃথিবীর জলপথ প্রদক্ষিণের মাধ্যমে সবার মধ্যে আকর্ষণ তৈরি করবে।

ডুবে যাওয়া টাইটানিকের মতো অবিকল একটি জাহাজ বানানোর লক্ষ্যে ২০১২ সালে পরিকল্পনা শুরু হয়। চীনের কিজাং নদীর জলাধারে স্থায়ীভাবে রাখার জন্য এমন একটি নৌযান তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। এজন্য বাজেট ধরা হয়েছে সাড়ে ১৪ কোটি মার্কিন ডলার (১ হাজার ২৩৭ কোটি ৫৮ লাখ ২২ হাজার ৫০০ টাকা)।

এদিকে সাগরের তলদেশে ডাইভ দিয়ে মূল টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখার সুযোগ পেতে যাচ্ছেন পর্যটকরা। অবশ্য এজন্য ব্যয় করতে হবে প্রচুর অর্থ। আমেরিকান প্রতিষ্ঠান ওশানগেট ২০১৯ সালে এই সেবা চালু করবে। এক্ষেত্রে জনপ্রতি লাগবে ১ লাখ ৫ হাজার ১২৯ মার্কিন ডলার (৮৯ লাখ ৭২ হাজার টাকা)। এছাড়া দ্য ব্লুফিশের প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ সিমস ২০১৯-২০ মৌসুমে ধ্বংসপ্রাপ্ত টাইটানিকের ভেতরে পর্যটকদের ভ্রমণ আয়োজনের আশা করছেন।

বাস্তবতা হলো, টাইটানিক-টু আদৌ আলোর মুখ দেখবে কিনা তা পরিষ্কার নয়। এছাড়া আগামী বছর ধ্বংসপ্রাপ্ত জাহাজটিতে ভ্রমণের সুযোগ চালু হওয়ার সম্ভাবনাও তেমন জোরালো নয়। তবে একটা ব্যাপার নিশ্চিত, শতাধিক বছর পেরিয়েও বিশ্বব্যাপী এখনও টাইটানিক জাহাজ নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ।

সিভয়েস/এস.আর

সিভয়েস ডেস্ক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়