Cvoice24.com


চড়ুইভাতির জন্যে পছন্দের শীর্ষে বালুখালী হর্টিকালচার সেন্টার

প্রকাশিত: ১৩:১১, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
চড়ুইভাতির জন্যে পছন্দের শীর্ষে বালুখালী হর্টিকালচার সেন্টার

বালুখালী হর্টিকালচার সেন্টার

রাঙামাটি শহরে একটু দূরে, সদর উপজেলার বালুখালী ইউনিয়নে রয়েছে গাছ-পালা ঘেরা একটি অরণ্য সুন্দর স্থান ‘বালুখালী হর্টিকালচার সেন্টার’। শীতের উষ্ণতা গায়ে জড়িয়ে এই সময়টিতে সরগরম থাকে স্থানটি। রাঙামাটি ছাড়াও বাইরের অনেকেই আসে এই স্থানে চড়ু্ইভাতি বা বনভোজন করতে। চারদিকে হ্রদের নীল জল, মধ্য দ্বীপে সারি সারি গাছপালা, বাহারি গাছে ঘেরা অরণ্য সুন্দর মন মুগ্ধকর একটি স্থান। চড়ুইভাতি বা বনভোজনের জন্যে শীর্ষে স্থানে রয়েছে এটি।

শীতের উষ্ণতা গায়ে জড়িয়ে বালুখালী হর্টিকালচার সেন্টারে ঘুরে বেড়াতে দেখা মিলে শত তরুণ তরুণীর। সকলের ভীড়ে শত শত গাছের সারির মাঝে হাতে হাত রেখে হেঁটে যাওয়ার সময় দেখা হয় ঢাকা থেকে আসা জহির রায়হান ও সাদিয়া ইয়াসমিন দম্পত্তির সাথে।

কথা হলে এই দম্পত্তি জানান, অফিসের ছুটিতে রাঙামাটি বেড়াতে এসেছে তারা। পরিবারের মা, বাবা, ছোট বোন ও তার জামাই এবং তাদের সন্তানদেরকে নিয়ে বেড়াতে এসেছে। বিয়ের ঠিক তিন মাসের মধ্যে তাদের এখানে বেড়াতে আসা। এত গাছ-পালা, হ্রদের নীল জল মনমুদ্ধ করেছে বলে জানান তারা। তারা জানান, রাঙামাটি আসলেই অনেক সুন্দর, হ্রদ, সারি সারি পাহাড় ও গাছ-পালা অদ্ভুত সুন্দর একটি স্থান।
বালুখালীতে বনভোজন করতে আসা রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্বিবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাঈম উদ্দিন বলেন, বালুখালী হচ্ছে অসাধারণ একটি স্থান। এখানে হ্রদের মধ্যখানের একটি দ্বীপে সারিসারি গাছপালা সহ প্রকৃতিক দৃর্শটি খুবই ভালো লাগে। তবে এখানে কোন একটি স্থানে বাচ্চাদের জন্যে পার্ক হিসাবে খেলাধুলার কিছু সরঞ্জাম থাকলে ভালো হতো বলে জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন, পার্বত্য জেলার মধ্যে আমাদের পাশবর্তী অন্য দুইটি জেলা পর্যটন খাতে যে হারে উন্নত হয়েছে আমরা কিন্তু সে তুলনায় এখনো পিছিয়ে রয়েছি। পর্যটন খাতকে আরো উন্নত করতে প্রয়োজন সঠিক সিদ্ধান্ত ও পরিকল্পনা, সাথে বাস্তবায়নের মনোভাব বলে মন্তব্য করেন এই শিক্ষার্থী।

বালুখালী হর্টিকালচার সেন্টার এলাকার বাসিন্দা জাহাঙ্গীর বলেন, এখানে প্রতিদিন বিভিন্ন স্থান থেকে হাজারো লোক বেড়াতে আসে। অনেকে বনভোজন করতে আসে। রাঙামাটিতে বনভোজন করার জন্যে অন্যতম পছন্দের স্থান হিসাবে এটাকেই সবাই চিহ্নিত করে। কাপ্তাই হ্রদের দৃর্শ ও বাহারি গাছপালা রয়েছে বলেই স্থানটিকে অনেক বেশি সুন্দর লাগে।

তিনি আরো বলেন, অনেক বছর আগের থেকে সরকারের উদ্যোগে এখানে বিভিন্ন জাতের গাছপালা লাগানো হয়েছিলো। সে গাছগুলো এখন অনেক বড় হয়েছে। গাছের বিপুল সমারোহে এই স্থানটি অরণ্য সুন্দর করে তুলেছে রাঙমাটির প্রাকৃতিক পরিবেশকে, তাইতো দর্শনার্থীদের মনকে মুগ্ধ করে দেয় স্থানটি।

সিভয়েস/এএস
 

সাইফুল বিন হাসান, রাঙামাটি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়