১৩ পদের সাংবাদিক!
সাংবাদিক সাহেব ঢাকা থেকে আসলেন রাঙ্গুনিয়ার এক গৃহবধুকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে যেতে। ২ বছর ধরে তাদের সম্পর্ক অনলাইন ও ফোনে। স্বামী ঘটনা জেনে বউকে শাসন করছিলেন।
গৃহবধুর কাছ থেকে এই খবর পেয়ে ঢাকা থেকে সাংবাদিক নামধারী প্রতারক বি এম আশিক হাসান আসেন রাঙ্গুনিয়ার বেতাগীতে। গৃহবধুও মোহে পড়ে তার সাথে চলে যেতে প্রস্তুত স্বামীকে প্রয়োজনে তালাক দিয়ে। স্থানীয়রা ঘটনা জেনে সাংবাদিক নামধারী এই প্রতারককে ধরে আটক করে উত্তম মধ্যম দিয়ে রাঙ্গুনিয়া থানার ওসিকে জানালে পুলিশ গিয়ে প্রতারক আশিক ও গৃহবধুকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।
এরপর সাংবাদিক সাহেবের দাপটশীল কথাবার্তায় ভড়কে যান পুলিশও। রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি ইমতিয়াজ ভুঁইয়া রাত আটটায় আমাকে ফোন করে থানায় নিয়ে যান একটু কথা বলার অজুহাতে।
সহকর্মী আব্বাসসহ গিয়ে দেখি এই ঘটনা। গৃহবধু কোলে নিজের মেয়েকে নিয়ে বসে আছেন স্বামীসহ। সাথে রাউজানের কদলপুর থেকে এসেছেন গৃহবধুর চাচাও। ভিজিটিং কার্ডে সাংবাদিক সাহেবের পদ ১৩টি। পরিচয় হলো সাংবাদিক, সংগঠক, শিল্পী , কলম সৈনিক।
অবশেষে তার স্থান হলো থানা হাজতে। এই ১৩ পদবীর সাংবাদিকের গ্রামের বাড়ি খুলনার দিঘলীয়া থানায়। রাঙ্গুনিয়ায় এপর্যন্ত অনলাইন অফলাইন সাংবাদিক পরিচয়ে যে কজন এসেছিল বিভিন্নভাবে প্রতারণা করতে তারা সকলের এই পরিণতি ঘটেছে।
-লেখাটি সাংবাদিক জিগারুল ইসলাম জিগারের ফেসবুক আইডি থেকে নেয়া।
সিভয়েস/এমআইএম
জিগারুল ইসলাম জিগার