Cvoice24.com


নবম ওয়েজবোর্ডের অসঙ্গতি নিয়ে আইনি পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত সিইউজের

প্রকাশিত: ১৫:৪৫, ৩ অক্টোবর ২০১৯
নবম ওয়েজবোর্ডের অসঙ্গতি নিয়ে আইনি পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত সিইউজের

নবম ওয়েজবোর্ডের গেজেটে বিভিন্ন অসঙ্গতি তুলে তা বাতিলের দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন। বৃহষ্পতিবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে আয়োজিত সিইউজে’র বিশেষ সাধারণ সভায় এই দাবি জানান নেতৃবৃন্দ।

সভা থেকে সর্বসম্মতিক্রমে নবম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ড রোয়েদাদ গেজেটে সাংবাদিকদের স্বার্থ বিরোধী ধারা, উপধারা সংযুক্ত করায় আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এসময় প্রকাশিত গেজেটের সাথে মন্ত্রীসভার সুপারিশকেও সাংঘর্ষিক বলে উল্লেখ করেন সিইউজে নেতৃবৃন্দ। পাশাপাশি নবম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ড রোয়েদাদ গেজেট প্রকাশের পর গেজেটের ত্রুটি-বিচ্যুতি নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়ায় বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের ভূমিকায় ক্ষোভ এবং তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে বর্তমান নেতৃত্বের প্রতি অনাস্থা প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়।

বিশেষ সাধারণ সভাটিতে সভাপতিত্ব করেন সিইউজের সভাপতি নাজিমুদ্দীন শ্যামল। এতে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু জাফর সুর্য। 
শুরুতে নবম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ড রোয়েদাদ গেজেটের বিভিন্ন অসঙ্গতি এবং সাংবাদিকদের স্বার্থ বিরোধী বিভিন্ন ধারা, উপধারা তুলে ধরে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌস।

পরে প্রতিবেদনের উপর আলোচনা করেন, সিইউজের সাবেক সভাপতি শহীদ উল আলম, মোস্তাক আহমেদ, এম. নাসিরুল হক, অঞ্জন কুমার সেন, আবু তাহের মুহাম্মদ, আসিফ সিরাজ, সমীর কান্তি বড়ুয়া, তপন চক্রবর্তী, কুতুব উদ্দিন চৌধুরী ও রোকসারুল ইসলাম।

সভায় বক্তরা বলেন, নবম সংবাদপত্র মজুরী বোর্ড রোয়েদাদ গেজেট প্রকাশিত হওয়ার পর স্বাভাবিক ভাবে সাংবাদিক সমাজ আশা করে ছিল, তাদের চাকুরীর নিশ্চিয়তা ফিরে পাবে, জীবনমান উন্নয়নে সহায়ক হবে। দু:খ জনক হলেও সত্য, সাংবাদিকদের সেই আশা ভেঙ্গে খান খান হয়ে যায় নবম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ডের গেজেট প্রকাশের পর। দীর্ঘদিনের লড়াই-সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত সকল অর্জন পদদলিত করা হয় ওই গেজেটের মাধ্যমে। 
সাংবাদিকদের স্বার্থ বিরোধী এসব কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নও কোন কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি। বরং সেক্ষেত্রে বর্তমান নেতৃত্ব ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।

তাঁরা বলেন, পঞ্চম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ড রোয়েদাদ চ্যালেঞ্জ করে দৈনিক জনকন্ঠ, দৈনিক সংবাদ, দৈনিক আজকের কাগজসহ ৫টি পত্রিকা ১৯৯৭ সালে মহামান্য হাইকোর্টে রিট করে ছিল। ১৯৯৮ সালে দৈনিক পূর্বকোণ কর্তৃপক্ষও একই ভাবে আদালতে রিট করেছিল। হাইকোর্ট দুটি রিটের একত্রে শুনানী করে দুইটি রিট খারিজ করে দিয়ে পঞ্চম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ড রোয়েদাদ বৈধ ঘোষনা করেন। আদালতের নির্দেশে সাংবাদিকরা এতদিন পর্যন্ত দুইটি গ্রাচ্যুইটি পেয়ে আসছিল। একইভাবে আয়কর পরিশোধ করে আসছিল মালিক কর্তৃপক্ষ। আদালতের সিদ্ধান্তের বাইরে নবম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ড রোয়েদাদ গেজেটে গ্র্যাচুইটি দু’টির স্থলে একটি করা, আয়কর সাংবাদিকদের উপর চাপিয়ে দেয়া এবং পর্যক্রমে ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়নের সিদ্ধান্তে আদালত অবমাননা হয়েছে। লঙ্ঘিত হয়েছে সাংবাদিকদের স্বার্থ।

তাঁরা আরও বলেন,  বিদ্যামান শ্রম আইনে এক বার যে সুবিধা দেয়া হয় সেই সুবিধা বাতিল করা যায় না। এক্ষেত্রে শ্রম আইনও লঙ্ঘিত হয়েছে। 

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সিইউজের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আলী, যুগ্ম সম্পাদক সবুর শুভ, অর্থ সম্পাদক কাশেম শাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম ইফতেখারুল ইসলাম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কুতুব উদ্দিন আহমেদ, নির্বাহী সদস্য উত্তম সেন গুপ্ত, দৈনিক পূর্বদেশ ইউনিটের প্রধান রতন কান্তি দেবাশীষ, দৈনিক আজাদী’র খোরশেদ আলম, দৈনিক পূর্বকোণের মিরাজ রায়হান, দৈনিক কর্ণফুলীর মোহাম্মদ আলী পাশা, দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশের স.ম ইব্রাহিম, প্রতিনিধি ইউনিটের হাসান নাছির ও টেলিভিশন ইউনিটের অনিন্দ্য টিটোসহ নির্বাহী পরিষদের নেতৃবৃন্দ।

-সিভয়েস/এএফ/এএস

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়