Cvoice24.com


হালদায় ডলফিন হত্যা বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের

প্রকাশিত: ০৭:০৬, ১২ মে ২০২০
হালদায় ডলফিন হত্যা বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের

দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে ডলফিন হত্যা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সাথে বিবাদীদের ৭২ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়ে ডলফিন হত্যা বন্ধে কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা জানাতে বলেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১২ মে) বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চে ইমেইলের মাধ্যমে করা এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন হাইকোর্ট।

এর আগে সোমবার (১১ মে) প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিটটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম লিটন। দেশের ভার্চুয়াল কোর্ট পদ্ধতিতে এটিই প্রথম রিট আবেদন হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হলো।

রিট আবেদনে হালদা নদীতে ডলফিন হত্যা বন্ধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না এবং ডলফিন হত্যা বন্ধে কেন প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।

রিটে মৎস্য ও পশু সম্পদ মন্ত্রণালয় সচিব, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক, চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক, ও চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিবাদী করা হয়েছে।

আদালত শুনানি শেষে হালদার ডলফিন হত্যা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন। তা কার্যকরে কি কি পদক্ষেপ নিয়েছে তা আগামি ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জানাতে বলেছেন বিবাদীদের।  

এর আগে গত ১০ মে এ বিষয়ে জাতীয় একটি ইংরেজি পত্রিকায় ডলফিন হত্যা সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই সংবাদ প্রতিবেদনটি যুক্ত করে জনস্বার্থে হাইকোর্টে এ রিট আবেদন করা হয়।
 
এরআগে শুক্রবার (০৮ মে) দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে নৃশংসভাবে কুপিয়ে একটি ডলফিনকে হত্যা করা হয়েছে। ওইদিন দুপুরে রাউজান উপজেলার উরকিরচর ইউনিয়নের জিয়া বাজার এলাকা থেকে হত্যার শিকার এই ডলফিনটি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত ডলফিনটির ওজন ৫২ কেজি, দৈর্ঘ্য ৫ ফুট ২ ইঞ্চি।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও হালদা বিশেষজ্ঞ ড. মনজুরুল কিবরিয়া জানান, এর আগে হালদা নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় ২৩টি মরা ডলফিন উদ্ধার করা হয়েছিল। তবে কোনটিকেই এভাবে কেটে হত্যা করা হয়নি। এবারই প্রথম কাটা ডলফিন উদ্ধার করা হয়েছে।

গত ২১ শে মার্চ ২৩তম ডলফিনের মৃত্যুর পর ১ মাস ১৮ দিনের মধ্যে এটি ২৪তম ডলফিনের মৃত্যু। হত্যাকাণ্ডের এই চিহ্ন মৃত ডলফিন গুলোর চেয়ে একটি নতুন ইঙ্গিত বহন করে।

আড়াআড়িভাবে এর ঘাড় থেকে লেজ পর্যন্ত দৈর্ঘ্য বরাবর কাটা। ধারণা করা হচ্ছে, জেলেরা জাল ফেলে ডলফিনটি নদী থেকে ডাঙায় আনে। এবং পেট কেটে চর্বি বের করার চেষ্টা করা হয় বলে জানান মনজুরুল কিবরিয়া।

সিভয়েস/এডি/এসসি

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়