Cvoice24.com


করোনা যুদ্ধে জয়ী হয়ে নমুনা সংগ্রহে ফের মাঠে রাঙ্গামাটির তাপস

প্রকাশিত: ২০:২১, ১৯ জুন ২০২০
করোনা যুদ্ধে জয়ী হয়ে নমুনা সংগ্রহে ফের মাঠে রাঙ্গামাটির তাপস

রাঙ্গামাটিতে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর থেকে কাপ্তাই উপজেলায় করোনার উপসর্গ থাকা ব্যক্তিদের নমুনা সংগ্রহ করে আসছেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) তাপস চন্দ্র বণিক। নমুনা সংগ্রহ করতে গিয়ে নিজেও করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়েন। পরে তৃতীয় দফায় নমুনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় ফের কাজে যোগদান করেছেন। 

উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) রয়েছেন তিনজন। তাদের মধ্যে তাপস চন্দ্র বণিক একজন। করোনার প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই কাপ্তাইয়ে তারা তিনজনই নমুনা সংগ্রহ করতে রাতদিন পরিশ্রম করে চলেছেন। ২৭ মে তাপস চন্দ্র বণিকের নমুনা পাঠানোর পর চট্টগ্রাম হতে আসা ২ জুনের রিপোর্টে তার করোনা পজেটিভ আসে। মৃদু উপর্সগ থাকায় চন্দ্রঘোনা দোভাষী বাজারের নিজ বাসায় তিনি হোম আইসোলেশনে চলে যান। তবে ১৭ জুনের তৃতীয় দফার রিপোর্টও নেগেটিভ আসে তার।

তাপস চন্দ্র বনিক জানিয়েছেন, ২ জুন করোনা পজিটিভ আসার পর তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার পরামর্শে বাসায় নিজেকে আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা নেন। তবে তার হালকা জ্বর ছাড়া অন্য কোন উপসর্গ ছিল না। তিনি পরিবারের অন্য সদস্যদের কাছ থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন রেখে ডাক্তারের পরামর্শে প্রতিদিন ৪ বার গরম পানির ভাপ নিয়েছেন, লবণপানি দিয়ে গর্গল করেছেন। এছাড়া চিকিৎসকের পরামর্শে বেশ কিছু ওষুধ খেয়েছেন। কখনোই মনোবল হারাননি।

৮ জুন তিনি দ্বিতীয় দফায় নমুনা দেন, তা ১৩ জুন নেগেটিভ আসে। পরে আবার ১৪ জুন তৃতীয় দফায় নমুনা দেন যা ১৭ জুন নেগেটিভ আসে এবং জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় তাকে সুস্থ ঘোষণা করে। সুস্থ হওয়ার পর তিনি ১৮ জুন আবারও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কাজে যোগদান করেন।

তাপস চন্দ্র বনিক জানান, ইতিমধ্যে তিনি ৫০টির মতো নমুনা সংগ্রহ করেছেন। নিজেকে তিনি করোনাযুদ্ধে উৎসর্গ করে দিয়েছেন, কারণ এই মূহুর্তে তার এটাই একমাত্র কর্তব্য।

কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাসুদ আহমেদ চৌধুরী তাপসের প্রশংসা করে বলেছেন, ‘উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিনজন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) কাজ করেন। তার মধ্যে তাপস চন্দ্র বণিকের পোস্টিং হয় কাপ্তাই লগগেইট ১০ শয্যা হাসপাতালে। করোনা রোগীর প্রকোপ দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় তাপসকে উপজেলা সদর হাসপাতালে এনে কাজ করাতে হচ্ছে। তিনি নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।’

রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়