Cvoice24.com


কোকেন মামলা: দশজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশীট

প্রকাশিত: ১৩:৩৭, ২৯ জুন ২০২০
কোকেন মামলা: দশজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশীট

চট্টগ্রাম বন্দরে জব্দকৃত ৯ হাজার কোটি টাকা মূল্যের কোকেন চোরাচালান মামলায় ১০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে মামলার তদন্তকারী সংস্থা র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। 

সোমবার (২৯ জুন) দুপুরে মেট্রোপলিটন আদালতের প্রসিকিউশন শাখায় আলোচিত এ মামলার চার্জশিট দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র‌্যাবের পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন ফারুকী।

চার্জশীটভুক্ত আসামিরা হলেন- আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান খানজাহান আলী লিমিটেডের মালিকানাধীন প্রাইম হ্যাচারির ব্যবস্থাপক গোলাম মোস্তফা প্রকাশ সোহেল (৩৯), খানজাহান আলী লিমিটেডের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ (৪৯), আবাসন ব্যবসায়ী মো. মোস্তফা কামাল (৪২), সিকিউরিটিজ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মো. মেহেদী আলম (৩১), গার্মেন্টস পণ্য রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান মণ্ডল গ্রুপের বাণিজ্যিক নির্বাহী মো. আতিকুর রহমান (২৯), কসকো শিপিং লাইনের ম্যানেজার এ কে এম আজাদ (৪৮), সিএন্ডএফ কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম (৩২), খানজাহান আলী গ্রুপের পরিচালক মোস্তাক আহাম্মদ খান (৪৫), ফজলুর রহমান (৩৫) ও মো. বকুল মিয়া (৩১)। এদের মধ্যে ১ আসামি জামিনে, ৫ আসামি কারাগারে ও ৪ আসামি পলাতক রয়েছে বলে আদালত সূত্রে জানা যায়।

আদালতে কোকেন মামলায় চার্জশিট দেয়ার বিষয়টি সিভয়েসকে নিশ্চিত করেন আদালতের প্রসিকিউশন শাখা ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র‌্যাবের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকী।

২০১৫ সালের ৭ জুন চট্টগ্রাম বন্দরের অভ্যন্তরে এন সি টি ইয়ার্ডে অবৈধ উপায়ে এলসি ব্যতিত আমদানি করা সূর্যমুখী তেলের আড়ালে কোকেন ভর্তি একটি কন্টেইনার জব্দ করা হয়। পরবর্তীতে পুলিশ, বন্দরের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণণ অধিদপ্তর, কাস্টমস্ ইন্টিলিজেন্স, নৌ বাহিনী, এসবি, ডিবি ও সিএমপিসহ বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার উপস্থিতিতে সীলগালা ভেঙ্গে কন্টেইনারের ভিতরে সর্বমোট ১০৭টি নীল রং এর প্লাষ্টিক এর ড্রাম উদ্ধার করা হয়। ল্যাবে ১০৭টি ড্রামে থাকা সূর্যমুখী তেলের নমুনা পরীক্ষা করে ২টি ড্রামে মোট ৩৭০ লিটার তরল কোকেন (মাদক) শনাক্ত হয়। পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশে এ সংক্রান্তে বন্দর থানায় ২০১৫ সালের ২৭ জুন মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা রুজু হয়।

মামলার তদন্তভার বন্দর থানা পুলিশ থেকে গোয়েন্দা পুলিশের এডিসি মো. কামরুজ্জামানের উপর অর্পিত হলে তিনি তদন্ত শেষে মাদক আইনে গত ২০১৫ সালের ১১ নভেম্বর এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনে ২০১৭ সালের ১২ মে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। তখন আদালত মামলার তদন্ত ত্রুটিপূর্ণ বিবেচনায় নিয়ে পুনরায় মামলার তদন্ত র‌্যাব-৭ চট্রগামের উপর দায়িত্ব অর্পণ করলে র‌্যাবকতৃপক্ষ র‌্যাবের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকীকে তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ করেন।

এরমধ্যে মাদক আইনের অংশের তদন্তভার গ্রহণ করে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকী বিশদ তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ২ এপ্রিল আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। যা বর্তমানে বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন আছে। অপর বিশেষ ক্ষমতা আউনের অংশটুকু তদন্ত শেষে গোয়েন্দা পুলিশ অভিযোগপত্র দাখিল করলে বিজ্ঞ আদালত তা গ্রহণ না করে র‌্যাবকে দায়িত্ব দিলে তদন্তের দায়িত্ব বর্তায় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকী। বিশেষ ক্ষমতা আইনের এ মামলায় আজ ২৯ জুন আদালতের কাছে ১০ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেন।

তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকী বলেন, দীর্ঘ তদন্তে আলোচিত এ মামলায় ১০ জনের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এরইপ্রেক্ষিতে আজ ২৯ জুন সোমবার দুপুরে ১০ জনকে অভিযুক্ত করে আলোচিত এ মামলায় আদালতে চার্জশিট দেয়া হয়েছে। এখন আদালতই তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করবেন।

-সিভয়েস/এসএইচ

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়