বান্দরবানে দুই সন্ত্রাসী গ্রুপের গোলাগুলিতে নিহত ৬

আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে বান্দরবানে অস্ত্রধারী দু’গ্রুপের গোলাগুলিতে ৬ জন নিহত হয়েছে। এসময় গুলিবিদ্ধ হয়েছে আরও ৩ জন। মঙ্গলবার (৭ জুলাই) মধ্যরাতে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বান্দরবান সদর উপজেলার রাজবিলা ইউনিয়নের বাঘমারা এলাকায় অস্ত্রধারী সশস্ত্র সন্ত্রাসী দু’গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি হয়। বন্দুকযুদ্ধে উভয়ের ৬ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা গেছে।

এসময় গুলিবিদ্ধ আহত আরও ৩ জনকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতরা হলেন-রতন তঞ্চঙ্গা, প্রজিত চাকমা, ডেবিট বাবু, মিলন চাকমা, জয় ত্রিপুরা, দিপেন ত্রিপুরা।

অপরদিকে গুলিবিদ্ধ সদর হাসপাতালে ভর্তি দুজনের নাম পাওয়া গেছে। এরা হচ্ছেন- খাগড়াছড়ির বাসিন্দার নিং চাকমা (৪২), বিদ্যুৎ ত্রিপুরা (৩৩)। হতাহতরা সকলেই জেএসএস সংস্কার (এমএন লারমা) গ্রুপের সদস্য। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বান্দরবানের পুলিশ সুপার জেরীন আক্তার।

স্থানীয়দের দাবি, পাহাড়ের আঞ্চলিক রাজনৈতিক সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) এর সঙ্গে বান্দরবানে নতুন করে ঘাটি গড়ে তোলা জনসংহতি সমিতি সংস্কার (এমএন লারমা) এবং স্থানীয় সশস্ত্র সংগঠন মগ লিবারেশন পার্টি (এমএলপি) আধিপাত্য বিস্তারের বিরোধ চলে আসছিল। এদের পাল্টাপাল্টি হামলায় গত একবছরে বান্দরবানে আওয়ামীলীগ নেতাসহ প্রায় বিশজনের মৃত্যু হয়েছে। সন্ত্রাসীরা অপহরণ করা আরও অনেক জন নিখোঁজ রয়েছেন।

এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেছেন সেনাবাহিনী, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। ঘটনাস্থল থেকে হতাহতদের উদ্ধার করা হয়েছে। গুলির খোসাসহ সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বান্দরবানের পুলিশ সুপার জেরীন আক্তার সিভয়েসকে জানান, সশস্ত্র সন্ত্রাসী দুগ্রুপের সংঘর্ষে ৬ জন মারা গেছে। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছে আরও ৩ জন। তবে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীরা কারা বিষয়টি তদন্ত না করে বলা ঠিক হবেনা। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ হতাহতদের উদ্ধার করেছে।

-সিভয়েস/এসএইচ