Cvoice24.com


করোনাকালে রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীদের ভরসা অনলাইন-পার্সেলই

প্রকাশিত: ১৫:৪৪, ৭ জুলাই ২০২০
করোনাকালে রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীদের ভরসা অনলাইন-পার্সেলই

ছবিঃ সিভয়েস

মহামারী করোনাভাইরাসের প্রকোপ যে হারে বেড়েই চলেছে। সেই ধারায় যেন দেশের সকল রেস্টুরেন্ট মালিকরাও ঘুটিয়ে নিচ্ছে তাদের ব্যবসায়। তবে এ মুহুর্তে দেশের অন্যান্য রেস্টুরেন্ট মালিকদের মতো অনলাইন ও পার্সেল সার্ভিসের বিকল্প নেই বলেই দাবী করছেন চট্টগ্রামের রেস্টুরেন্ট মালিকরাও।

আবার অনেক রেস্টুরেন্ট মালিকরা বলছেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ১৭ মার্চ থেকে নগরীর ছোট বড় বেশিরভাগ হোটেল রেস্টুরেন্ট বন্ধ থাকলেও, সম্প্রতি সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বসে খাবার ব্যবস্থা করছেন। তারপরও দেখা মিলছে না ভোজন রসিকদের। পার্সেল সার্ভিসের মাধ্যমে হোটেল-রেস্টুরেন্টগুলোর খাবারের অর্ডার আসলেও মূলধনের ধারায় পৌঁছাতে হিমশিম খাচ্ছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানই। বড় প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা থাকলেও ছোট ছোট অধিকাংশ রেস্টুরেন্ট এখনো বন্ধ র‍য়েছে। বিক্রি চার ভাগের এক শতাংশে নেমে এসেছে বলে দাবী করছেন খোলা থাকা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিকরা। এছাড়াও গত ৪ মাসে পহেলা বৈশাখ সহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে তাদের যে লভ্যাংশ থাকে, সে ক্ষতির জের টানতে ও অনেক সময় লাগবে বলে দাবি করেছেন তারা।

এ দিকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে বর্তমানে প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী হোটেল, রেস্টুরেন্ট খোলা রাখা যাবে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত। 

মঙ্গলবার (৭ জুলাই) নগরীর বিভিন্ন হোটেল রেস্টুরেন্টগুলোতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শূন্যতায় হাহাকার করছে লাখ টাকা ব্যয়ে গড়ে ওঠা নগরীর বেশিরভাগ রেস্টুরেন্টগুলো। নেই ভোজন রসিকদের ভীড়। আগে যে সকল রেস্টুরেন্টে লাইনে দাঁড়িয়ে খেতে হতো, সে সকল রেস্টুরেন্টের অবস্থা দেখে বোঝার উপায় নেই, এগুলোতে একসময় ছিল ভোজন রসিকদের মিলন মেলা। কিছু কিছু নামি-দামি রেস্টুরেন্টে সীমিত সংখ্যক লোকজন থাকলেও বেশিরভাগ সাজানো-গোছানো টেবিলগুলো পড়ে আছে খালি। আবার কিছু কিছু নামি-দামি রেস্টুরেন্ট বসে খাবার ব্যবস্থা না করে, শুধুমাত্র পার্সেল সার্ভিসের মাধ্যমে খাবার ডেলিভারি দিচ্ছেন। 

রেস্টুরেন্ট মালিকরা বলেন, পার্সেল সার্ভিসে মোটামোটি বিক্রি হলেও সন্তোষজনক বেচা বিক্রি নেই। তাই এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে অনলাইন ও পার্সেল সার্ভিসের বিকল্প নেই বলে তারা জানান।

কেনাবেচা সম্পর্কে জানতে চাইলে কেএফসি’র সেলস সার্ভিসের রিপ্রেজেনটেটিভ ইকবাল হোসাইন বলেন, ‘আমরা শুধুমাত্র পার্সেল ও অনলাইন অর্ডারে খাবার সরবরাহ করছি। বসে খাবার ব্যবস্থা নেই।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘বিক্রি আগের তুলনায় অর্ধ শতাংশ কমেছে। এ পরিস্থিতিতে আমরা অনলাইন ও পার্সেল সার্ভিসের ওপর জোর দিচ্ছি।’

স্যফরান রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার তোফাজ্জল হোসাইন বলেন, ‘আমাদের বিক্রি শতকরা ২৫ শতাংশ’তে নেমে এসেছে। আগের মত ভোজন রসিকদের ভীড় হয় না। সামাজিক অনুষ্ঠান ও বন্ধ রয়েছে।’

এ ব্যপারে জানতে চাইলে বারকোড রেস্টুরেন্টের মালিক মঞ্জুরুল হক সিভয়েসকে বলেন, ‘লকডাউন শেষে রেস্তোরাঁ খোলার পর থেকে প্রতিদিন প্রায় ২৫-৩০% বিক্রি হচ্ছে। স্কুল কলেজ বন্ধ, করোনার ঝুঁকিতে অনেকই ঘর থেকে বের হচ্ছে না তাই কাস্টমার ও কম। আগের মতো নেই কোনো অনুষ্ঠানও।’

তিনি আরও বলেন, ‘অনেক দিন রেস্টুরেন্ট বন্ধ থাকায় অনেক আসবাবপত্রও নষ্ট হয়ে গেছে। আমারা স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা মাথায় রেখে আমাদের প্রত্যেক স্টাফদের ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করেছি।’

-সিভয়েস/এমএম

রিমন সাখাওয়াত

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়