বিএসআরএমের কারখানায় তাজা গ্রেনেড!
বাংলাদেশ স্টিল রি-রোলিং মিলস (বিএসআরএম) লিমিটেডের চট্টগ্রামের কারখানা থেকে একটি তাজা গ্রেনেড উদ্ধার করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।
পরে সেটি পাশের একটি খালি জায়গায় নিয়ে গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিষ্ক্রিয় করেন কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের বোম ডিজপোজাল ইউনিটের সদস্যরা। বুধবার (৮ জুলাই) সন্ধায় জোরারগঞ্জের মধ্যম সোনাপাহাড় এলাকায় গ্রেনেডটির সন্ধান পাওয়া যায়।
কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) পলাশ কান্তি নাথ বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে সিভয়েসকে বলেন, জোরারগঞ্জ থানা থেকে খবর পেয়ে বোম ডিসপোজাল ইউনিটিকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হলে তারা সেটি শনাক্ত করে পাশের একটি খালি জায়গায় নিয়ে গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করেন। এছাড়া কারখানার ভেতরে আর কোনো গ্রেনেড আছে কিনা তাও দেখা হয়। তবে আর কোনো গ্রেনেড সেখানে পাওয়া যায়নি। পুরো অভিযানটিতে নেতৃত্ব দেন বোম ডিসপোজাল ইউনিটের পরিদর্শক রাজেশ বড়ুয়া।
জোরারগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিন সিভয়েসকে বলেন, বুধবার বিকেলের দিকে কারখানা থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায়। দেখা যায়- কারখানায় আমদানি করা লোহার রড তৈরির কিছু কাঁচামালের মধ্যে একটি গ্রেনেড পড়ে আছে। সেটি উদ্ধার করতে সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটকে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে আসে এবং সেটি উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করেন।
মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, গ্রেনেড কোথা থেকে কিভাবে কারখানার ভেতরে আসলো তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিষয়টি জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। কারখানার নিরাপত্তার ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
-সিভয়েস /এসএইচ/এসএইচ
সিভয়েস প্রতিবেদক