Cvoice24.com


চট্টগ্রামে ৯ দিনে সাড়ে ছয়শ আসামির জামিন

প্রকাশিত: ১১:৫৭, ১৪ জুলাই ২০২০
চট্টগ্রামে ৯ দিনে সাড়ে ছয়শ আসামির জামিন

চট্টগ্রামে ফৌজধারি মামলায় আত্মসমর্পণের সুযোগ পেয়ে মাত্র ৯ দিনে সাড়ে ছয়শ'রও বেশি আসামি জামিন পেয়েছেন। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও চট্টগ্রাম জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করেই সাড়ে ছয়শ'রও বেশি আসামি এ জামিন পায়।

গত মার্চে চট্টগ্রামসহ সারাদেশে করোনা প্রকোপ শুরু হলে চট্টগ্রামের অসংখ্য ফৌজধারি মামলার আসামির ক্ষেত্রে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেয়ার বিষয়টি বন্ধ হয়ে যায়। গত ৪ জুলাই প্রধান বিচারপতির এক নির্দেশে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাওয়ার সুযোগ ফের সৃষ্টি হয়।

আদালত সূত্র জানায়, গত ৪ জুলাই উচ্চ আদালতের নির্দেশের পরদিন ৫ জুলাই চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতগুলোতে আসামিরা আত্মসমর্পণ শুরু হয়। সে থেকে গত ১৩ জুলাই পর্যন্ত মোট ২৬৩টি মামলায় মোট ৬ শত ৮৯ জন আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। এরমধ্যে জামিন পেয়েছেন ৬৬১ জন আসামি। বাকী ২৮ জন আসামির জামিন না-মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নাজির আবুল কালাম আজাদ বলেন, তাদের আদালতে গত ৯ দিনে ১১৬ মামলায় মোট ৩৫০ জন আসামি আত্মসমর্পণ করেছেন। এরমধ্যে ৩৩২ জনকে আদালত জামিন দিয়েছেন। বাকী ১৮ জনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। 

চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নাজির আবু তাহের বলেন, তাদের আদালতে গত ৯ দিনে ১৪৭ মামলায় মোট ৩৩৯ জন আসামি আত্মসমর্পণ করেছেন। এরমধ্যে ৩২৯ জনকে আদালত জামিন দেন। বাকী ১০ জন আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এদিকে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দীর্ঘ তিন মাস বিভিন্ন মামলার আসামিরা জামিন প্রশ্নে ভোগান্তিতে ছিলেন। জামিনযোগ্য মামলার আসামিরা মামলার বাদি কর্তৃক বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হয়েছেন। উচ্চ আদালত আত্মসমর্পণের সুযোগ দেয়ায় অসংখ্য মামলার আসামি হয়রানি থেকে মুক্তি পেয়েছেন। জামিন পেয়ে এখন তারা তৃপ্তির ঢেকুর তুলছেন।

সংশ্লিষ্টা বলছেন, পরিপূর্ণ একচুয়াল কোর্ট হলে জামিন প্রত্যাশি বিচারপ্রার্থীদের দুঃখ পুরোপুরি লাঘব হতো। এখন বিচারপ্রার্থীদের আদালতে আসতে হচ্ছে দুদিন। একদিন কাগজপত্র উপস্থাপন ও আরেকদিন শুনানিতে অংশ নিতে আসতে হচ্ছে। ফলে তাদের দুঃখ দুঃখই থেকে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে আদালতের সংখ্যা বাড়িয়ে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রত্যাশিত আসামিদের ভোগান্তি কমানো যায়।

আইনজীবী রেজাউল করিম রনি সিভয়েসকে বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে আত্মসমর্পণকৃত আসামির জামিন শুনানি করার কথা উচ্চ আদালত বললেও তা কিন্তু মানা হচ্ছে না। শুনানির সময় এজলাস ও আদালত চত্বরে ঝটলা লেগেই থাকে। বিড়ি-সিগারেট বিক্রেতারাও আদালত ভবনে হরহামেশা ঘুরাঘুরি করছে। সংশ্লিষ্টদের বিষয়গুলো বিবেচনায় নিতে হবে।

জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোক্তার আহমেদ সিভয়েসকে বলেন, করোনার প্রকোপ শুরু হলে আদালতে মমলার আসামির আত্মসমর্পণ সুযোগ বন্ধ হয়ে যায়। গত ৪ তারিখ থেকে উচ্চ আদালতের নির্দেশে শুরু হলে ফের আদালতে আসামি আত্মসমর্পণ করছেন এবং জামিন নিচ্ছেন। আদালত যাদের জামিন দেয়া প্রয়োজন মনে করছেন না তাদের জামিন দিচ্ছেন না। আশা করি আদালতের সব ধরণের কার্যক্রম ধীরেধীরে স্বাভাবিক হয়ে উঠবে।

-সিভয়েস/এসএইচ

সরকার হাবীব

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়