Cvoice24.com


কক্সবাজারে একইদিনে ৫ জনের ‘গুলিবিদ্ধ লাশ’ উদ্ধার

প্রকাশিত: ১৪:৩৬, ২৮ জুলাই ২০২০
কক্সবাজারে একইদিনে ৫ জনের ‘গুলিবিদ্ধ লাশ’ উদ্ধার

কক্সবাজার ও টেকনাফে একদিনে ৫ জনের ‘গুলিবিদ্ধ লাশ’ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, তারা গোলাগুলিতে নিহত হয়েছে।  মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) ভোররাত ৪টার দিকে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের খারাংখালী এলাকা থেকে চারজনের লাশ উদ্ধার করে টেকনাফ থানা পুলিশ। 

তারা হলেন- ওই এলাকার মৃত নুর মোহাম্মদের ছেলে মো. ইসমাইল (২৫), আমতলী এলাকার আব্দুল মালেকের ছেলে আনোয়ার হোসেন (২৫), পুর্ব মহেশখালীয়া পাড়া এলাকার মৃত হাকিম মিয়ার ছেলে মো. আনোয়ার (২৪) ও খারাংখালী এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে মোঃ নাসির (২৩)। 

টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান, ভোরে হোয়াইক্যংয়ের হারাংখালী এলাকায় ইয়াবা কারবারিদের দুই গ্রুপের মধ্যে গুলিবিনিময় হচ্ছে-এমন খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে চারজনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ দেখতে পায়। পরে তাদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে ৫০ হাজার ইয়াবা, দু’টি দেশি বন্দুক ও ৮ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।  

এদিকে, একই দিন (২৮ জুলাই) সকালে কক্সবাজার শহরের কবিতা চত্বর থেকে অজ্ঞাত যুবকের ‘মৃতদেহ’ উদ্ধার করেছে সদর থানা পুলিশ। ঘনাস্থল থেকে একটি দেশিয় তৈরি এলজি, একটি তাজা কার্তুজ, দুটি খালি খোসা, ১০০ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। 

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি সৈয়দ আবু মো. শাহজাহান কবির জানিয়েছেন, কবিতা 
চত্বরে মৃতদেহ পড়ে থাকছে খবর পেয়ে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। উদ্ধার হওয়া যুবকের পরিচয় জানা যায় নি। 

উল্লেখ্য, আগামী ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে কক্সবাজারকে মাদকমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন। 

টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশও একই চ্যালেজ্ঞ ছুঁড়ে দেন। তার ঘোষণা, মাদক কারবারীদের বসতঘর, স্থাপনায় ‘গায়েবী হামলা, ভাঙচুর’ হতে পারে। কিছু কিছু জায়গায় অগ্নিসংযোগও দেখা যেতে পারে। মাদক কারবারির কোথাও ঠাঁই হবে না। মোট কথা, টেকনাফকে মাদকমুক্ত একটি মডেল থানা উপহার দেয়া হবে- এমনটি জানিয়েছিলেন ওসি প্রদীপ। পুলিশ প্রশাসনের এই ঘোষণার পর থেকে ‘বন্দুকযুদ্ধ’ বেড়েছে। মারা যাচ্ছে মাদক কারবারীরা।

কক্সবাজার প্রতিনিধি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়