Cvoice24.com


ও ভাই! কসাই লাগবে কসাই...

প্রকাশিত: ১৪:৪২, ৩১ জুলাই ২০২০
ও ভাই! কসাই লাগবে কসাই...

ছবি : সিভয়েস

ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার শ্রমজীবী মানুষ কসাই কাজ করতে কাঠের কাটনি নিয়ে ঘুরছে নগরীর পাড়া মহল্লায় রুজিরোজগার ও মাংসের আশায়।

করোনা মহামারীতে ইদুল ফিতর সাধারণভাবে পালিত হলেও ইদুল আজহা পালিত হচ্ছে বড় পরিসরে। এবার কোরবানি হবে লক্ষ পশু। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে বিশ্ব মহামারী থেকে পানাহ পেতে কোরবানি করছেন মুসলমান সম্প্রদায়।

কোরবানি উপলক্ষে পেশাদার কসাইদের পাশাপাশি অন্য পেশার শ্রমজীবীরা এ পেশায় যোগ দিয়েছেন। তারা বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় কোরবানির জন্য ক্রয়কৃত পশুর মালিকদের সাথে চুক্তিভিত্তিক কসাই কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করছে। অপেশাদার কসাই অল্প টাকার বিনিময়ে পশু জবাইসহ মাংস কাটার কাজ করতে অনুরোধও করছেন। কোরবানির সময় অন্যকোনো কাজ না থাকায় তারা কসাই কাজকে বেঁছে  নিয়েছেন বলে জানা যায়।

অন্যদিকে পশু প্রতি জবাইসহ কেটে দেওয়ার গরুর দামের উপর নির্ভর করে কাজের দর কষাকষি করছেন পেশাদার কসাই। পেশাদারী কসাইরা কমপক্ষে দুটি থেকে তিনটি গরুর কাজ নিয়ে থাকে। একজন কাজে পুরা পারদর্শী হলেও তাদের সাথে থাকা বাকী দুইজন থাকেন চুক্তি ভিত্তিক।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নগরীর চকবাজার, বহদ্দারহাট, আনসার ক্লাব মোড়ে অপেশাদার কসাইদের আনাগোনা। অপেক্ষায় আছে দা, ছুরি, দামা, কাঠের কাটনি নিয়ে। যদি কারও ডাক আসে, কথাবার্তার মাধ্যমে অগ্রীম টাকা হাতে নিয়ে ঠিকানা অনুযায়ী ঈদের দিন ছুটে যাবে বাসায়। আবার অনেকে অগ্রীম টাকা পরিশোধ করে তাদের কাঠের কাটুনি, ধামা, ছুরি নিজেদের হেফাজতে নিয়ে নিচ্ছেন। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির কারণে বেশিরভাগ মানুষই কসাই কাজের জন্য পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতাকে প্রাধান্য দিচ্ছেন। তাদের চাহিদা পরিষ্কার জামাকাপড় পড়ে কসাই কাজে আসতে হবে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সাব্বির বিন আনোয়ার সিভয়েস'কে বলেন, করোনাভাইরাসের আতঙ্কটা মারাত্বক হলেও নিজেকে নিরাপদ রাখা কিন্তু জটিল কোনো কাজ নয়। মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস, স্যানিটাইজার রেখেছি, যেন কোন ধরনের সুরক্ষা ব্যাবস্থা ছাড়া মাংস কাটতে না হয়।

তিনি আরও বলেন, সুবিধাবঞ্চিত মানুষেরা কাজ খুঁজে না পেয়ে একদিনের জন্য কসাই কাজ করতে আসে। মাংস ও কিছু টাকাই তাদের কাম্য। কসাইয়ের সাথে চুক্তি করেছি তবে যে বা যারাই কাজ করতে আসবে তারা যেন অবশ্যই পরিষ্কার জামাকাপড় পড়ে আসে।

চকবাজার মোড়ে রিক্সাচালক করিম সিভয়েস'কে বলেন, আমি পেশায় একজন রিক্সা চালক। কোরবানিতে কসাই কাজ করতে পারলে কিছু টাকা ও মাংস পাওয়া যাবে।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি যথেষ্ট সতর্কতা নিয়ে যাব। কাজ না করলে পরিবার নিয়ে চলাটা খুব কষ্টকর হয়ে যাবে। কাজ না করলে ঈদের দিন পরিবারের সদস্যরা ভাল মন্দ খেতে পারবে না।

পেশাদারী কসাই সুজন বলেন, আমার টিম কোরবানির মাংস কাটাসহ দিনে ৪ থেকে ৫ টি কাজ করতে পারি। কিন্তু এইবার কাজের প্রেসার বেশি। করোনার জন্য অপেশাদার কসাই কেও নিতে চাইছেন না। যার কারণে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার যারা এ কাজ করতে নেমেছে, তাদের একটু বিড়ম্বনায় পড়তে হবে।

তিনি আরও বলেন, ছুরি ও অন্যান্য সরঞ্জাম জীবাণুমুক্ত করে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সাবান বা ডিটারজেন্ট পানি ব্যবহার করার ব্যাপারে আমি জেনেছি।

সিভয়েস/আরএস/এসসি

রিমন সাখাওয়াত

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়