Cvoice24.com


রাতেই বর্জ্যমুক্ত হবে নগরী, অপসারণে চসিকের ৪ হাজার সেবক

প্রকাশিত: ১২:১৬, ১ আগস্ট ২০২০
রাতেই বর্জ্যমুক্ত হবে নগরী, অপসারণে চসিকের ৪ হাজার সেবক

ছবি : সিভয়েস

পবিত্র ঈদ-উল-আজহার উপলক্ষে জবাই করা পশুর বর্জ্য অপসারণ করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সেবকরা। শতভাগ বর্জ্য অপসারণের জন্য বিকাল ৫ টা পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করলেও চসিক বলছে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে নগরীর প্রধান সড়কে শতভাগ অপসারণ করা হয়েছে।

অলিগলি থেকে বর্জ্য অপসারণ করতে আরও দু ঘণ্টা সময় লাগবে তাদের। তবে আজকে রাতের মধ্যেই শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করা হবে দাবি চসিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্থায়ী কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমনের।

চসিক জানায়, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৪ হাজার শ্রমিক বর্জ্য অপসারণে কাজ করছে। ব্যবহার করা হচ্ছে ৩৫০টি গাড়ি, পশু জবাইকৃত স্থানে ২০ টন ব্লিচিং পাউডার ছিটানো হয়েছে। এবার ৪টি জোনে ভাগ করে একইসঙ্গে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করা হবে।

৪টি জোনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কাউন্সিলর মোবারক আলী (১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ১৫ ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ড), কাউন্সিলর মো. আবদুল কাদের (২৩, ২৭, ২৮, ২৯, ৩০, ৩৬, ৩৭, ৩৮, ৩৯, ৪০ ও ৪১ নম্বর ওয়ার্ড), কাউন্সিলর নুরুল হক (১৭, ১৮, ১৯, ২০, ২১, ২২, ৩১, ৩২, ৩৩, ৩৪, ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড) ও কাউন্সিলর মোরশেদ আকতার চৌধুরী (৯, ১০, ১১, ১২, ১৩, ১৪, ২৪, ২৫ ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ড)।

বর্জ্য অপসারণের বিষয়টি তদারকি করছেন ৪১টি ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিচ্ছন্ন বিভাগের সুপারভাইজাররা। তাদের কাজের সুবিধার্থে দেওয়া হয়েছে ওয়াকিটকি, গাড়ি, টমটম গাড়ি। করপোরেশনের পক্ষ থেকে বর্জ্য অপসারণে দামপাড়া চসিক কার্যালয়ে ১টি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। চসিকের প্রকৌশল বিভাগের যান্ত্রিক শাখা ও পরিবহন পুল প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

এদিকে ঈদুল আজহার কোরবানি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পরিদর্শন করেছেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। শনিবার (১ আগস্ট) বিকাল ৩টার দিকে তিনি আলমাস সিনেমা হলের সামনে ডাস্টবিনে কর্মরত পরিচ্ছন্ন কর্মীদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিদর্শন দিয়ে নগর পরিক্রমা শুরু করেন। এরপর তিনি হালিশহর পোর্ট কানেকটিং রোডস্থ সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন, নিমতলা বিশ্বরোড মোড়, মহাজন ঘাটা ডাস্টবিনে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পরিদর্শন করেন বলে জানিয়েছেন মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম।

পরিদর্শনকালে মেয়র পরিচ্ছন্ন কর্মীদেরকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে কোরবানি ময়লা আবর্জনা অপসারণের নির্দেশনা দেন। মাক্সবিহীন অবস্থায় দায়িত্ব পালনকারী পরিচ্ছন্ন কর্মীদেরকে মুখে মাক্স পরিয়ে দেন।

পরিদর্শনের সময় কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, শৈবাল দাশ সুমন, চসিক প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহমদ, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, নগর যুবলীগ নেতা সুমন দেবনাথ, ওয়াহিদুল আলম শিমুল, লিটন রায় চৌধুরী, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা এস এম মামুনুর রশীদ, মো তাজউদ্দিনসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়